>বিপিএলে আজ খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৯৫ রান তুলেছে সিলেট।
আলোচনা চলছে বিপিএলে এক ম্যাচে ফিফটি (৮৫) করেই জাতীয় দলে ফেরার ডাক পেয়েছেন সাব্বির রহমান। কিন্তু ওই ম্যাচের পর টানা দুই ইনিংসে সাব্বির আবারও ব্যর্থ। ফিফটির আগে ছয়টি ইনিংসের মতোই। বাতাসে পরিবর্তনের ডাকটা তাই শুনতে পেয়েছে সিলেট সিক্সার্স টিম ম্যানেজমেন্ট। সাব্বির রহমানকে আজ তাই আর ওপেন করতে দেখা গেল না। তাঁর জায়গায় লিটন দাসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামলেন আফিফ হোসেন। ব্যাটিং অর্ডারে নিচে নেমে যাওয়াটা সাব্বিরের নিশ্চয়ই ভালো লাগেনি?
তবে চারে ব্যাট করতে নেমে সাব্বির দলের প্রয়োজনটা ঠিক ধরতে পেরেছেন। তিনে নামা জ্যাসন রয় যখন ১ রান করে ফেরেন সিলেট তখন ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৮৪। বাকি ১০ ওভারে রান তোলার সঙ্গে ইনিংস টানতেও কাউকে না কাউকে দাঁড়াতে হতো। সাব্বির ঠিক এ কাজটিই করেছেন। ২৯ বলে তাঁর অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে ১৯৫ রান তুলতে পেরেছে সিলেট। আফিফের অবদানও কম নয়। ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৭ বলে ৪৯ রান করে সিলেটের ইনিংসের শুরুর সুরটা বেঁধে দিয়েছেন আফিফ-ই।
ওপেনিং জুটিতেই দুরন্ত সূচনা পেয়েছে সিলেট। ৭.৫ ওভারের মধ্যে ৭১ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন লিটন-আফিফ। ২ ছক্কা ও ৩ চারে ২২ বলে ৩৪ রান করা লিটন আজও ভালো শুরু পেয়েছেন। কিন্তু পুরোনো রোগ এখনো না সারায় ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাইজুল ইসলামের বলে স্লগ সু্ইপ করতে গিয়ে ধরা পরেছেন মিডউইকেট। আফিফ ১২তম ওভারে সেই তাইজুলের বলেই ফিরেছেন ফিফটির সুবাস পেয়ে। নিকোলাস পুরানও (১২) বেশিক্ষণ দাঁড়াতে (১৩.৩ ওভারে আউট) না পারায় ১৪ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১০৭ রান তুলে কিছুটা চাপে ছিল সিলেট। রান রেট কমে গিয়েছিল দলটির। পাকিস্তানি মোহাম্মদ নওয়াজকে নিয়ে সাব্বির এখান থেকে শুরু করেন প্রতি আক্রমণ।
বাকি ৬.৩ ওভারে দেখে শুনে মারার বেশ ভালো উদাহরণই দেখিয়ে দেন সাব্বির-নওয়াজ জুটি। শেষের এই ৩৯ বলে ৮৯ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন দুজন। অর্থাৎ এ সময় ওভার প্রতি গড়ে ১৪ রানেরও বেশি তুলেছেন সাব্বির ও ন্ওয়াজ। সাব্বিরই বেশি বিধ্বংসী ছিলেন। ২ ছক্কা ও ৪ চারে ইনিংসটি সাজান তিনি। আর নওয়াজ ২ ছক্কা ও ৩ চারে খেলেছেন ২১ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস।
পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে থাকায় সিলেটের জন্য এখন সব ম্যাচই বাঁচা-মরার লড়াই। আজ সেই লড়াইয়ের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নামা সিলেট ইনিংসের মাঝ পথে কিছুটা হলেও খেই হারিয়েছে। সাব্বির এখান থেকে দলের বড় সংগ্রহটুকু নিশ্চিত করেছেন। তবে দুই শ না হওয়ার আক্ষেপ থাকবে সিলেট সমর্থকদের।