প্রতিভার ভান্ডার নিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটে। বেশ কিছু চির স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিয়ে হারিয়েও গেলেন খুব দ্রুত। এখন হাতে ডক স্টিক নিয়ে তরুণ ক্রিকেটারদের শিক্ষকের ভূমিকায় দেখা যায় আফতাব আহমেদকে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে ক্রিকেটার আফতাবের শুরুটা যেমন হয়েছিল চমক জাগিয়ে, কোচিং ক্যারিয়ারও ঠিক তাই। গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে কোচিং করিয়ে দলকে রানার্সআপ আপ করেন সাবেক এই ক্রিকেটার। ভালো ‘ম্যান ম্যানেজার’ হিসেবে খ্যাতি পেয়ে গেছেন ইতিমধ্যেই।
এখন কাজ করছেন বিসিবি একাদশের সহকারী কোচ হিসেবে। চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে তাঁর দল দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে আফগানিস্তান দলের বিপক্ষে। তবে আফতাবের দৃষ্টি আরও ওপরে। কোচ হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের চূড়ায় খুঁটি গেঁড়ে বসতে চান লম্বা সময়ের জন্য। ক্রিকেট ক্যারিয়ারের মতো কোচিং ক্যারিয়ার নিয়ে হেলাফেলা করতে চান না, ‘এখানে কাজ করা অবশ্যই একটা বড় পাওয়া। আমার যেই লক্ষ্য, ওপরের লেভেলে কাজ করা, সেটার প্রথম ধাপ হয়তো এটা। আর আমি চাই আস্তে আস্তে কাজ করতে, কারণ অনেক কিছু শেখার ব্যাপার আছে। হুট করে এগোতে চাইলে কঠিন হয়ে যায়। সবচেয়ে ওপরের লেভেলে যেতে চাই, যত ওপরের লেভেলে যাওয়া যায়।’
তৃণমূল পর্যায় থেকে কাজ করে আসা আফতাব বাংলাদেশ ক্রিকেটে প্রতিভার কমতি দেখেন না। তবে প্রতিভার দেখভাল ঠিকঠাক মতো হয় না বলেই অভিমত আফতাবের। তরুণদের ক্ষেত্রে একটু ধৈর্য ও সঠিক পরিকল্পনার প্রতিফলন দেখতে চান আফতাব, ‘যে কোনো একটা স্কোয়াডে ধরুন ৩০ জন আছে। তাদের লম্বা সময় দেওয়া উচিত। তাহলে একটা সময় পর ক্রিকেটার অবশ্যই বের হয়ে আসবে। যেমন ধরেন একটা ছেলেকে এক দেড় বছর সময় দিলাম, এরপর ছেড়ে দিলাম। নতুন কাউকে নিলাম। আবার কিন্তু সেই নতুন ছেলেকে একই পরিমাণ সময় দেওয়া লাগছে। আমি চাচ্ছি এক-দেড় বছর না করে তিন বছর সময় দিতে।’