ভারত বনাম ইংল্যান্ডের ম্যাচটি সম্ভবত এই বিশ্বকাপে রাউন্ড রবিন লিগের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। স্বাগতিক ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে লড়ছে। অন্যদিকে ভারত অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে। অস্ট্রেলিয়া যেমন ২০০৭ বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, ভারত সেই পথ অনুসরণ করতে চাইবে। সাবেক চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খুব বেশি বড় স্কোর না করেও ভারত যে রকম নিখুঁত জয় পেয়েছে, অন্য দলগুলো ভেবে অবাক হতে পারে যে এই দলের দুর্বলতা কোথায়। কোনো সন্দেহ নেই বোলিংটাই ভারতের মূল শক্তি, যারা ছোট স্কোরের পরের ম্যাচ বের করে আনতে পারে।
ভারতের জন্য চিন্তার ব্যাপার হচ্ছে, ওদের ৪ ও ৫ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংটা দুর্বল মনে হচ্ছে। বিজয় শংকর পরপর দুই ম্যাচে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। দুবারই প্রতিপক্ষ খুব একটা ভয়ংকর ছিল না। একই কথা কেদার যাদবের বেলায়ও সত্যি। একমাত্র যে জিনিসটি যাদবের পক্ষে যাবে, সেটা হচ্ছে ওয়ানডেতে তার বেশ কয়েকটা সেঞ্চুরি আছে এবং ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগে ভারতের শেষ ওয়ানডে সিরিজে সে মোটামুটি ভালোই করেছে।
এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ভারত উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাইবে কি না, সেটা একটা দেখার ব্যাপার হবে। কিন্তু তাদের এটাও মাথায় রাখতে হবে যে ধাওয়ানের চোটের কারণে রাহুলকে ওপেন করতে হচ্ছে। তার মানে, প্রথম তিন ব্যাটসম্যান দ্রুত আউট হয়ে গেলে তারা বিপদে পড়তে পারে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনজনের দুজন যখন আউট হয়ে গিয়েছিল, অধিনায়ক কোহলিই ইনিংসটা ধরে রেখেছিল। এ জন্য শংকর ও যাদবের জন্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি হতে পারে শেষ সুযোগ, কারণ ভারতের পরের দুটি ম্যাচ তুলনামূলক সহজ ও চেনা প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অল্প রান করে জয় পাওয়া যাবে না। কারণ ইংলিশদের ব্যাটিংয়ে গভীরতা অনেক বেশি। এ কারণে একটা ভালো স্কোরের জন্য ভারতের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে কমপক্ষে ৪০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে হবে।
ইংল্যান্ড আজকের ম্যাচে তাদের সেরাটাই দেবে। প্রথমে ব্যাটিং করে টানা আগ্রাসী ব্যাটিং করে যাওয়ার মধ্য দিয়েই মূলত তাদের সাফল্য এসেছে। ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টও নিশ্চয়ই মাথায় রাখবে যে ইংল্যান্ডের তিনটি হারই রান তাড়া করতে গিয়ে।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ফেবারিট ইংল্যান্ড এখন অক্সিজেনের সাহায্যে টিকে আছে। তারা কি হেঁচকা টানে মাস্ক খুলে ফেলবে, নাকি পরম শান্তিতে ঘুম দেবে শিগগিরই আমরা সেটা দেখতে পারব।