>৪৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৯ রান তুলেছে আফগানিস্তান। ৫ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। ষষ্ঠ উইকেটে ৫৬ রানের ভয় দেখানো জুটিটাও ভেঙেছেন সাকিব।
সাউদাম্পটনে রাজত্ব করবেন স্পিনাররা। ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচে সেটা দেখা গেছে। আজ বাংলাদেশের ইনিংসেও মুজিব উর রেহমান-মোহাম্মদ নবীরা ভালোই যন্ত্রণা দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। তবু বাংলাদেশ দল স্পিনারের হাতে বল তুলে দিতে দশ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করল।
সাকিব আল হাসান প্রথম বল করতে এসেছেন ১১তম ওভারে। বাংলাদেশকে উইকেট উপহার দিতে মাত্র ৫ বল দরকার হলো সাকিবের। রহমত শাহ সাকিবকে বোলিংয়ে দেখে লং অন দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গেলেন। কিন্তু মিড অনে তামিম ইকবালের কাছে বল বুঝিয়ে দিয়ে ফিরেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
২৬২ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই করেছিল আফগানিস্তান। বাংলাদেশের পেসাররাও অতিরিক্ত রান দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রথম ১০ ওভারে আফগানিস্তান যে ৪৮ রান তুলেছে তার ৯টিই এসেছে অতিরিক্ত থেকে। মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোস্তাফিজুর রহমান কিংবা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরা খারাপ বোলিং করেননি। কিন্তু উইকেট তুলে নেওয়ার মতো সুযোগও সৃষ্টি করেননি। মাশরাফির পঞ্চম ওভারে একটি বল রহমতকে পরাস্ত করেছিল। কিন্তু ওই ওভারেই ১২ রান দিয়েছেন মাশরাফি।
দুশ্চিন্তা যখন বাড়ছিল, তখনই বল হাতে নিয়েই অধিনায়কের চিন্তা কিছুটা লাগব করেন সাকিব। তবে আসল জাদু তাঁর পঞ্চম ওভারে। প্রথম বলে ফেরান দুশ্চিন্তা বাড়াতে থাকা গুলবদন নাইবকে। তৃতীয় বলে ফেরান ‘আফগান সাকিব’ মোহাম্মদ নবীকে, দারুণ এক আর্মবলে বোল্ড করে।
৫ ওভারে ৬ রানে ৩ উইকেট—বোলার সাকিবের জাদু এবার দেখছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এক ওভার বিরতিতে আবার ষষ্ঠ ওভারে চমক। এবার ক্যাচ বানালেন আসগর আফগানকে। ওই ওভারে তার বোলিং বিশ্লেষণ হয়ে গেল এমন: ৮ রানে ৪ উইকেট! পরে ষষ্ঠ উইকেটে ৫৬ রানের ভয় দেখানো জুটিটাও ভেঙে পূর্ণ করেছেন ৫ উইকেট। বিশ্বকাপে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি বোলার ম্যাচে ৫ উইকেট নিল। ম্যাচে ৫০ রান ও ৫ উইকেট নেওয়ার মাত্র দ্বিতীয় বিশ্বকাপ রেকর্ড এটি। ২০১১ বিশ্বকাপে এই ডাবল করে দেখিয়েছিলেন যুবরাজ সিং।
[তাৎক্ষণিক আপডেট দেওয়া হচ্ছে বলে কিছু ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে। পাঠকের সদয় বিবেচনা কাম্য]