এক ফ্রেমে খালেদ মাহমুদ (বাঁ থেকে দ্বিতীয়) ও আকরাম খান (বাঁ থেকে তৃতীয়)
এক ফ্রেমে খালেদ মাহমুদ (বাঁ থেকে দ্বিতীয়) ও আকরাম খান (বাঁ থেকে তৃতীয়)

বলছেন বিসিবি সভাপতি

আকরাম–মাহমুদে দ্বন্দ্ব নেই

বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের দায়িত্বে আর থাকতে চাচ্ছেন না আকরাম খান—দুই দিন আগে আকরামপত্নী সাবিনা আকরামের দেওয়া এমন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। এরপর গতকাল আকরাম নিজেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন তাঁর অমন ইচ্ছার কথা।

আকরাম কেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের দায়িত্বে আর থাকতে চাচ্ছেন না, সেটা নিয়ে আছে বিভিন্ন ধরনের জল্পন–কল্পনা। তার একটি বিসিবির আরেক পরিচালক ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ। এমনও আলোচনা আছে, ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান হওয়া সত্ত্বেও আকরাম নাকি জানতেন না মাহমুদ টিম ডিরেক্টর হচ্ছেন! এ ছাড়া পাকিস্তান সিরিজের আগে অনুশীলন ক্যাম্পে কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটারকে ডাকার ঘটনাও ঘটেছে আকরামের অজান্তে।

বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের দায়িত্বে আর থাকতে চাচ্ছেন না আকরাম খান

কিন্তু আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি কার্যালয়ে বোর্ড কর্মকর্তাদের এক সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, আকরাম–মাহমুদের কাজের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। মাহমুদকে টিম ডিরেক্টর করার প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দলের সঙ্গে সাধারণত আমি থাকতাম বা সুজন (খালেদ মাহমুদ) থাকত। কিন্তু সুজন যখন গেম ডেভেলপমেন্টে ব্যস্ত হয়ে পড়ল, তখন সে–ও যেতে পারছিল না। তখন আমরা আরেকজন পরিচালক পাঠাই। তখন ওই জায়গায় একটা দূরত্ব তৈরি হয়। সুজন যেহেতু সহসভাপতি (ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের), এই দায়িত্বটা তাঁকেই দেওয়া হয়েছে। আকরামের পদ ও মাহমুদের পদ কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক নয়।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ

ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে আকরাম থাকবেন কিনা, এ ব্যাপারেও পরিষ্কার করে কিছু জানাননি নাজমুল হাসান। নাজমুলের নেতৃত্বে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ নতুন করে নির্বাচিত হয়ে আসার পর এখনো আনুষ্ঠানিক সভায় বসেনি। নতুন করে দায়িত্বও বণ্টন হয়নি। ২৪ ডিসেম্বর বোর্ড সভায় স্থায়ী কমিটিগুলো পুনর্গঠন হওয়ার কথা। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য সিদ্ধান্ত এক রকম হয়েই আছে। আর আকরাম যেমন ক্রিকেট পরিচালনা প্রধানের পদে আর থাকতে চাচ্ছেন না, তেমনি বোর্ডের একটি পক্ষও এই পদে পরিবর্তন আসা দরকার বলে মনে করে।

কমিটি পুনর্গঠন সম্পর্কে নাজমুল হাসান অবশ্য বলেছেন, ‘আমরা এখনো কাউকে কোনো কমিটি দিইনি, কমিটি তৈরিও করিনি। ২৪ তারিখ আমরা কমিটি করব। আর আকরাম বলেছে, এখানে যেহেতু অনেক কাজ, তাই অন্য কোনো কমিটির দায়িত্ব দিলে তাঁর আপত্তি নেই। তারপর বলেছে, আমি যেটা বলব সেটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এমন নয় যে আকরাম সব ছেড়ে দিচ্ছে বা ছেড়ে দেবে। সে তার সমস্যার কথা বলেছে। তবে পরিবর্তন হবে, এটাও বলছি না, পরিবর্তন হবে না, এটাও বলছি না।’

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান

আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে বিপিএল নিয়েও। দু-এক দিনের মধ্যেই এবারের বিপিএলের ছয় দলের নাম জানাবে বিসিবি। বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার জানিয়েছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের ছয়টা দল চূড়ান্ত হয়েছে। আজ–কালকের মধ্যে তাদের টাকা জমা দিতে হবে। না হলে আরও দু-তিনটি আগ্রহী প্রতিষ্ঠান আছে। তাদের সঙ্গেও কথা বলা আছে আমাদের।’

আগামী ২০ জানুয়ারি শুরু হয়ে বিপিএল চলবে প্রায় এক মাস। ঢাকা, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি পেয়েছে বিসিবি। ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত হয়ে গেলে হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট। ইসমাইল হায়দার বলেছেন, প্লেয়ার্স ড্রাফটের সম্ভাব্য তারিখ ২৭ ডিসেম্বর অথবা ৩ থেকে ৫ জানুয়ারির মধ্যে। খেলা হবে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে।