আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে গাঙ্গুলীই সবচেয়ে এগিয়ে।
আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে গাঙ্গুলীই সবচেয়ে এগিয়ে।

আইসিসি চেয়ারম্যান? তিন মোড়লকে দেখতে চায় না পাকিস্তান

তিন মোড়ল বলুন বা বিগ থ্রি—এখন আর ক্রিকেটে শব্দবন্ধগুলো অতটা শোনা যায় না। ক্রিকেটের রাজস্ব কিংবা অধিকারে এখনো দাপট তাদেরই, শুধু সেভাবে শোনা যায় না আর কি! আইসিসির আগামী চেয়ারম্যান নির্বাচনেও কি তিন মোড়লের দাপট থাকবে? তিন মোড়ল অর্থাৎ ভারত, ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়া থেকেই একজন হবেন চেয়ারম্যান? পাকিস্তানের এখানে কিছু বলার আছে।

পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান এহসান মানি সরাসরিই বলে দিয়েছেন, তিন মোড়ল ক্রিকেটে যেভাবে রাজনীতিকরণ করেছে, তাতে তিন মোড়লের বাইরের কেউ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেই  ক্রিকেটের জন্য আরও ভালো হবে।

গত ১ জুলাই শশাঙ্ক মনোহর দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর থেকেই আইসিসির পরের চেয়ারম্যান নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। ডেপুটি চেয়ারম্যান ইমরান খাজা আপাতত অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে এর মধ্যে দৌড়ে কয়েকজনের নাম এসেছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) দায়িত্বে থাকা সৌরভ গাঙ্গুলীর নামই সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে। যদিও ভারতের সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে টিকে গেলে বিসিসিআইয়ের প্রধানের দায়িত্বও পাকাপাকিভাবে পেয়ে যাবেন কিংবদন্তি ভারত অধিনায়ক। এর বাইরে ৩১ আগস্ট ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) চেয়ারম্যানের দায়িত্বের মেয়াদ শেষ করা কলিন গ্রেভসের নাম শোনা যাচ্ছে। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডের (এনজেডসি) চেয়ারম্যান ক্রেগ বারক্লে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক প্রধান ডেভ ক্যামেরনের নামও আসে আলোচনায়।

তিন মোড়ল থেকে নতুন চেয়ারম্যান চান না এহসান মানি।

কিন্তু মানির চোখে, আর যে-ই হোন, ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের কেউ যেন আইসিসির পরের চেয়ারম্যান না হয়। ফোর্বস ম্যাগাজিনে পিসিবি চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারত ২০১৪ সালে যে রাজনীতি ঢুকিয়েছে...সেটি থেকে এখন ফেরত যেতে এখন তারাই আবার সংগ্রাম করছে। এই পদ্ধতিটা এখন আর তাদের কাজে লাগছে না। বিগ থ্রি-র বাইরে থেকে কাউকে (চেয়ারপারসন) হিসেবে পেলেই বেশি ভালো হবে।’

২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আইসিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা মানি অবশ্য নিজেকে দৌড় থেকে সরিয়ে রাখছেন। তবে আইসিসি নিয়ে তাঁর মূল্যায়ন, ‘বোর্ডে (আইসিসি) স্বার্থের দ্বন্দ্বের ঝামেলাটা অনেক বেড়ে গেছে। ১৭ বছরে এটা আগে কখনো দেখিনি। আইসিসিতে এখন স্বাধীন পরিচালক খুব বেশি দরকার।’ প্রায় দুই মাসেও আইসিসির প্রধান নির্বাচনের পদ্ধতি এখনো ঠিক হয়নি। তা নিয়ে মানির কথা, ‘এত সময় লাগাটা দুর্ভাগ্যজনক।’

মানি না চাইলেও এখন পর্যন্ত আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে গাঙ্গুলীই সবচেয়ে এগিয়ে। এরই মধ্যে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার (সিএসএ) প্রধান গ্রায়েম স্মিথ তাঁর সমর্থন দিয়ে রেখেছেন গাঙ্গুলীকে।