পাকিস্তানের সাবেক আম্পায়ার আসাদ রউফ।
পাকিস্তানের সাবেক আম্পায়ার আসাদ রউফ।

আইপিএলের সাফল্যে পাকিস্তানি আম্পায়ারদের অবদান কম নয়

পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন নতুন কিছু না। খেলা মাঠে চলাকালীন এ নিয়ে মাঝে–মধ্যেই প্রশ্ন ওঠে। পাকিস্তান ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের মান আরও বাড়ানো উচিত বলেই মনে করেন দেশটির সাবেক আন্তর্জাতিক আম্পায়ার আসাদ রউফ ও নাদিম ঘাউরি। এ নিয়ে আইপিএলের উদাহরণ টেনেছেন আসাদ রউফ।

সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন রউফ। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং ছেড়ে দেন প্রথম শ্রেণির সাবেক এ ক্রিকেটার। ৪৯ টেস্ট, ৯৮ ওয়ানডে ও ২৩টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। আইসিসি আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে জায়গা করে নেওয়া রউফ বিতর্কেও জড়িয়েছেন।

আইপিএলে আম্পায়ারিংয়ে আসাদ রউফ।

২০১৩ সালে আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে তাঁর নামও উঠে এসেছিল। এ কারণে সে বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচ অফিশিয়াল প্যানেল থেকে তাঁকে সরিয়ে নিয়েছিল আইসিসি। মুম্বাই পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে জুয়া ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছিল। মুম্বাইয়ে গিয়ে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানিতে বসতে রাজি হননি রউফ। পরে তাঁকে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ করা হয়।

সে যা-ই হোক, পিএসএলে আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আইপিএলের প্রসঙ্গ তোলেন ৬৪ বছর বয়সী রউফ।

তাঁর মতে, বাজে আম্পায়ারিং একটা টুর্নামেন্টের আবেদন শেষ করে দিতে পারে, ‘পিএসএলে আম্পায়ারিংয়ের মান ভালো করতে হবে, কারণ বাজে আম্পায়ারিং টুর্নামেন্ট শেষ করে দিতে পারে। আইপিএলের প্রথম মৌসুম মনে করে দেখুন। বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খেলোয়াড় ও ভক্তরা। যে কারণে তা ভালো করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়, এমনকি পাকিস্তান থেকেও আম্পায়ার ডাকা হয়েছিল। দুই দেশের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক থাকলেও এটা করা হয়েছিল কারণ আমরা মাঠে সঠিক সিদ্ধান্তই দিই। আইপিএলের সাফল্যে পাকিস্তানি আম্পায়ারদের ভূমিকা ছিল অসামান্য।’

রউফ মনে করেন, আম্পায়ারিং মোটেও সহজ কাজ নয়। পাকিস্তানে আম্পায়ারিংয়ে মান পড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে অনেক কারণেই এর মান পড়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে টাকা–পয়সার সমস্যা এবং কৌশলগত জায়গায় সঠিক লোকের অভাব।’ ঘাউরি মনে করেন কারিগরি প্রযুক্তির উন্নয়ন হওয়ায় আম্পায়ারিং করা এখন সহজ। আর এ কারণে খেলোয়াড়দের এ পেশায় আসা উচিত, ‘প্রযুক্তির উন্নয়ন হওয়ায় আম্পায়ারিং এখন সহজ। আমার মনে হয় খেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকলে এ পেশায় আসা যায়।’

৫ টেস্ট ও ৪৩ ওয়ানডে পরিচালনা করা ঘাউরি মনে করেন পাকিস্তানি আম্পায়ারদের সেভাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না আইসিসি, ‘পাকিস্তানের বহু আম্পায়ারকেই এড়িয়ে যাচ্ছে আইসিসি। এটা হতাশার। আমার পর আলীম দার, আসাদ রউফ। আরও দুই থেকে তিনজন আম্পায়ারকে এলিট প্যানেলে রাখা উচিত ছিল।’