রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভিভো আপাতত সরে গেছে আইপিএল থেকে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) তাই এ বছরের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের জন্য নতুন টাইটেল স্পনসর খুঁজছে। এ সুযোগই কাজে লাগাতে চায় পতঞ্জলি। যোগব্যায়ামগুরু বাবা রামদেবের প্রতিষ্ঠান চাইছে আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হতে।
ভারতে আয়ুর্বেদ ও যোগব্যায়াম দিয়ে বিশাল এক সাম্রাজ্য গড়েছেন বাবা রামদেব। বিশ্বব্যাপী নিজের প্রতিষ্ঠানের পরিচয় ছড়িয়ে দিতে আইপিএলের সঙ্গে জড়িত হতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। পতঞ্জলির মুখপাত্র এস কে তিজারাওয়ালা ইকোনোমিক টাইমসকে বলেছেন, ‘এবারের আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হতে চাই আমরা। কারণ, পতঞ্জলি ব্র্যান্ডের বিশ্বব্যাপী বাজার সৃষ্টি করতে চাই।’ এ কারণে বিসিসিআইয়ের কাছে সরাসরি প্রস্তাব দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন বলেও জানিয়েছেন তিজারাওয়ালা।
বিশ্লেষকদের ধারণা, যে কারণে ভিভোকে আইপিএল থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে, সে অনুযায়ী পতঞ্জলির স্পনসর হতে পারাটা আনন্দের উৎস হয়ে উঠতে পারে। কারণ, সম্পূর্ণ দেশি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল একটি প্রতিষ্ঠানের আইপিএলের মতো বড় টুর্নামেন্টের স্পনসর হতে পারা বড় বার্তা দেয়। কিন্তু ব্র্যান্ড বিশ্লেষক হরিষ বিজরের ধারণা, পতঞ্জলিকে স্পনসর বানিয়ে আইপিএলের খুব একটা লাভ নেই, ‘পতঞ্জলি টাইটেল স্পনসর হলে আইপিএলের লাভ নেই, বরং সব লাভ পতঞ্জলির। জাতীয়তাবাদের প্রেক্ষাপট থেকে এমন এক প্রতিষ্ঠানের স্পনসর হওয়া হয়তো ইতিবাচক প্রভাব ফেলতেও পারে, কারণ এখন চীনবিরোধী জোয়ার চলছে দেশে।’
২০১৮ সালে বছরে ৪৪০ কোটির চুক্তিতে আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হয়েছিল ভিভো। আপাতত ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনার ফলে এ বছর আইপিএল থেকে সরে দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে আগামী বছর আবারও ফিরে আসার সম্ভাবনা আছে তাদের। ফলে, শুধু এ বছরের জন্য একটি স্পনসর খুঁজে নিতে ৫০ ভাগ ছাড় দিতেও রাজি বোর্ড। এখন পর্যন্ত জিও, আমাজন, টাটা, ড্রিম ইলেভেন, আদানী গ্রুপ ও বাইজুসের নাম স্পনসর হিসেবে আলোচিত হয়েছে। কিছুদিন আগে কোভিড-১৯ নিরাময়ের ওষুধ আবিষ্কার করেছে বলে দাবি করে বিতর্কের মুখে পড়া পতঞ্জলির সঙ্গে আপাতত নাম জড়াতে খুব একটা আগ্রহী নয় বিসিসিআই।