আইপিএলের ছক্কায় মজেছেন মাইকেল ফেল্প্স

ঋষভ পন্ত দেখাচ্ছেন কী করে ছক্কা হাঁকাতে হয়। ছবি: ফেসবুক
ঋষভ পন্ত দেখাচ্ছেন কী করে ছক্কা হাঁকাতে হয়। ছবি: ফেসবুক

ছক্কা তবে এভাবেই হাঁকাতে হয়? ঋষভ পন্তের দিকে মনোযোগী ছাত্রের মতো তাকিয়ে থাকা মাইকেল ফেল্‌প্‌সের চোখের ভাষা সেটাই যেন বলছে। অলিম্পিকে রেকর্ড ২৩টি সোনাসহ ২৮টি মেডেলজয়ী এই কিংবদন্তি ভারত সফরে এসেছেন। আইপিএলে দেখেছেন চেন্নাই সুপার কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ। দিল্লির ঋষভের সঙ্গে নেটে সময়ও কাটিয়েছেন। এ সময়েই ঋষভের কাছ থেকে ব্যাটে-খড়ি নিয়েছেন ফেল্‌প্‌স।

মার্কিন মুলুকের ক্রীড়া তারকা, বেসবল চিনলেও চিনতে পারেন; ক্রিকেট তাঁর কাছে অচেনাই। ফুটবল খেলাটাই তো সেখানে কল্কে পায়নি, লোকে সেখানে ফুটবল বলতে অন্য খেলাই বোঝে, আদি অকৃত্রিম ফুটবলের নাম সেখানে সকার। সেই ফেল্‌প্‌স ক্রিকেট নিয়ে ভারতীয়দের উন্মাদনা দেখে মুগ্ধ, ‘খেলাটা নিয়ে দর্শকেরা কত রোমাঞ্চিত ছিল, তা দেখেই ভালো লেগেছে। খেলোয়াড়েরা যখন এ মাথা থেকে ও মাথা দৌড়ায় (রান নেওয়ার জন্য), সেটিও দারুণ। কিংবা কোনো আউট হওয়া। গতকাল (পরশু) ছক্কাগুলো দেখেও বেশ ভালো লেগেছে।’

ব্যাট হাতে তুলে নিলেন মাইকেল ফেল্‌প্‌স। ছবি: ফেসবুক

নেটে পন্ত ছাড়াও ছিলেন দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার, প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস বো পেসার ইশান্ত শর্মা। ফেল্‌প্‌স বলেছেন, ‘ওদের কাছ থেকে বেশ কিছু টিপস পেলাম। কীভাবে ব্যাট ধরতে হয়। পরেরবার ভারতে এলে ক্রিকেট খেলার জন্য আরও ভালো প্রস্তুত থাকব বলেই মনে হচ্ছে।’ তবে এই খেলাটায় নেমে পড়ার যে কোনো সম্ভাবনা নেই, সেটিও পরিষ্কার করলেন ৩৩ বছর বয়সী, ‘মনে হয় না ক্রিকেট আমার পরবর্তী খেলা হতে পারবে। তবে দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ দেখে আমার ভালোই লেগেছে।’

অলিম্পিকের সব রেকর্ডই এই জলদানবের দখলে। এক অলিম্পিকে সবচেয়ে বেশি সোনা জেতার কীর্তি গড়েছেন ২০০৮ বেইজিংয়ে। সেবার জিতেছিলেন ৮ সোনা। একক ইভেন্টে অলিম্পিক ক্যারিয়ারে সোনা জিতেছেন ১৩টি। দলীয় ইভেন্ট মিলিয়ে মোট সোনা ২৩। পাশাপাশি তিনটি রুপা আর দুটি ব্রোঞ্জও আছে তাঁর। অলিম্পিকে এতগুলো পদক জিততে পারেননি আর কেউই। শুধু সাঁতারু হিসেবে নয়, কেউ কেউ তাঁকে সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদই মনে করেন।

আইপিএলের গ্যালারিতে সাঁতারু ফেল্‌প্‌স। ছবি: ফেসবুক

এমন একজন কিংবদন্তির সান্নিধ্য পেয়ে পন্তরা গলে তো যাবেনই। পন্ত তো এমনও প্রস্তাব দিলেন, ‘উনি চাইলে যত দিন খুশি আমার বাসায় থাকতে পারেন, যেখানে আমি ওনাকে ক্রিকেটটা শেখাতে পারব।’ এ কথা শুনে খুশিতে গদগদ ফেল্‌প্‌স বলেছেন, ‘এটা শুনে তো ভালো প্রস্তাবই মনে হচ্ছে। তার মানে এই খেলাটা শেখার যোগ্য আমি। এটা ভেবেই ভালো লাগছে।’

মরিস বলেছেন, ‘এই মানুষটা তো জীবন্ত কিংবদন্তি। অলিম্পিকে সবচেয়ে বেশি সোনা জেতার রেকর্ড আছে তাঁর। ফেল্‌প্‌সের সঙ্গে সময় কাটাতে পারা আমাদের জন্য সম্মানের। ওনাকে দেখে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। মাইকেল ফেল্‌প্‌স অলিম্পিক শব্দটার সমার্থক এখন। দুজন অলিম্পিয়ানের নাম বিশ্বজুড়ে সবাই জানে। ফেল্‌প্‌স আর উসাইন বোল্ট।’