>২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ছয়টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার ব্যাপারে পাকিস্তানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছিল ভারত। কিন্তু ভারত এই সমঝোতা স্মারক মেনে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ না খেলায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইসিসিতে নালিশ ঠুকেছিল পাকিস্তান। শুনানি শেষে আইসিসির বিরোধ মীমাংসা প্যানেল সেই নালিশ নাকচ করে দিয়েছে
সর্বশেষ এশিয়া কাপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইটা ছিল একপেশে। দুটি ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানিরা আশায় ছিলেন, ময়দানি লড়াইয়ে না পারলেও আইনি লড়াইয়ে ভারতকে হারাতে পারবে তাঁদের দেশ। কিন্তু তাতেও হার হয়েছে পাকিস্তানের। ভারতের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার অঙ্গীকার ভঙ্গের যে অভিযোগটি আইসিসিতে পাকিস্তান করেছিল, সেটি নাকচ হয়ে গেছে।
নিজেদের অফিশিয়াল টুইটার পেজে এ নিয়ে আইসিসি জানিয়েছে, ‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বিরুদ্ধে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নালিশ খারিজ করে দিয়েছে বিরোধ মীমাংসা প্যানেল।’
অভিযোগটা পুরোনোই। ২০১৪ সালের এপ্রিলে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল। সেই স্মারক অনুযায়ী ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ছয়টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজনের কথা ছিল। কিন্তু ভারত সেই সমঝোতা স্মারকের মর্যাদা রাখেনি বলে অভিযোগ পিসিবির। এতে ৪৪৭ কোটি রুপি (ডলারে প্রায় ৭ কোটি) ক্ষতিপূরণের মামলা ঠুকেছিল পাকিস্তান।
ভারতের যুক্তি পরিষ্কার, ২০১৪ সালের এপ্রিলে যেটি সই হয়েছিল, সেটি কোনো চুক্তি নয়। সমঝোতা স্মারক। সেই স্মারক মানার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতাও নেই। তা ছাড়া আইসিসিকে এর আগে ভারত যে রাজস্ব মডেলের প্রস্তাব করেছিল, পাকিস্তানের তাতে সমর্থন ছিল না। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। রায় নিজেদের পক্ষে আসায় খুশি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (সিওএ) প্রধান বিনোদ রায়, ‘আমাদের দাবির যথার্থতা প্রমাণ হয়েছে বলে ভালো লাগছে। পিসিবি যাকে সমঝোতা স্মারক বলছে, সেটি আসলে প্রস্তাবনা পত্র ছিল।’
বিনোদ রায় জানিয়েছেন, পিসিবির বিরুদ্ধে বিসিসিআই এবার উল্টো মামলা ঠুকে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ক্ষতিপূরণের এই অভিযোগের বিপক্ষে লড়তে ভারতের যে খরচ হয়েছে, তার ব্যয়ভার পিসিবিকে বহন করতে হবে—এই দাবিতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিসিসিআই।
পিসিবির ক্ষতিপূরণ দাবির মামলার সুরাহা করতে গত বছর তিন সদস্যের একটি বিরোধ মীমাংসা প্যানেল গঠন করেছিল আইসিসি। গত ১ থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত দুবাইয়ে আইসিসির সদর দপ্তরে এই অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আইসিসির বিরোধ মীমাংসা প্যানেলের রায়ে বলা হয়, ‘পিসিবির দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এর বিপক্ষে আপিলের সুযোগ নেই।’