মাশরাফি বিন মুর্তজা-মোহাম্মদ আশরাফুলের বন্ধুত্বের বয়স প্রায় তাঁদের খেলোয়াড় জীবনের সমান। দুজনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরুও প্রায় একই সময়ে। কৈশোর পেরিয়ে আসা দুই প্রতিভাবান ক্রিকেটার জাতীয় দলে পা রেখেছিলেন ২০০১ সালে। একই সঙ্গে খেলেছেন ১৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ২০০৭ সালে দুই বন্ধু দায়িত্ব পেলেন বাংলাদেশ দলকে হাতে হাত রেখে এগিয়ে নেওয়ার। আশরাফুল হলেন অধিনায়ক, মাশরাফি তাঁর ডেপুটি।
দুই বছর পর আশরাফুল অধিনায়কত্ব হারালে নেতৃত্বের ভারটা পড়ল মাশরাফির কাঁধে। বারবার চোটাঘাত বাধা হয়ে দাঁড়ালেও মাশরাফি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক হিসেবে। কিন্তু আশরাফুলের পথটা বেঁকে গেল বিতর্কিত এক ঘটনায়। ২০১৩ সালের বিপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পথটাই হারিয়ে ফেললেন। শত বাঁক পেরিয়ে আজ আবার তাঁরা এক পথে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আশরাফুল ফিরেছেন বিপিএলে।
দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন আরও দুই বছর আগে। কিন্তু বিসিএল, জাতীয় লিগ কিংবা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ তো আর টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় না। আন্তর্জাতিক আবহে বিপিএল দিয়েই হলো তাঁর ফেরা। আর ফেরার দিন পেলেন প্রিয় বন্ধুকে। প্রথম রান করলেন রংপুর অধিনায়ক মাশরাফিকে থার্ড ম্যানে পাঠিয়ে। প্রান্ত বদলের সময় উইকেটে একটু খুনসুটিও হলো 'অ্যাশ-ম্যাশে'র।
দৌড়ে রান নিতে গিয়ে আর একটু হলে মাশরাফিকে ধাক্কাই মেরে বসেছিলেন। মাশরাফি চকিতে সরে গিয়ে গা বাঁচিয়েছেন। আশরাফুল ইচ্ছে করে ধাক্কা দিলাম কিন্তু একটা ভঙ্গি করেছিলেন বলেই মনে হলো। মাশরাফিও কি কম যান! তিনি ল্যাং মেরে ফেলেই দিতে চাইলেন আশরাফুলকে!
জাতীয় দলে একই ড্রেসিংরুম কত দিন ভাগাভাগি করেছেন। দুজনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের বয়সটাই তো ১৭ বছরের! আশরাফুলের ক্যারিয়ারে অবশ্য আপাতত বিরতি। ফিরে এসে মাশরাফির জাতীয় দলের সতীর্থ আবার হতে পারবেন তো? আজ বিপিএলে ফেরার দিনে আশরাফুল যে করলেন মোটে তিন রান!