>গ্যাবায় সিরিজের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া আর পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ২৪০ রানে অলআউট হয়ে গেছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার পেসাররাই তুলে নিয়েছেন নয় উইকেট
এমনিতেই ব্রিসবেনের গ্যাবার উইকেট পেসবান্ধব হিসেবে পরিচিত। সিরিজের প্রথম টেস্ট গ্যাবায় হবে শুনে হয়তো মনে মনে খুশিই হয়েছিলেন স্টার্ক, কামিন্স, হ্যাজলউডরা। গ্যাবা তাদের খুব একটা নিরাশ করেনি। প্রথম দিনেই অস্ট্রেলীয় পেসারদের দাপটে ২৪০ রানে অলআউট হয়ে গেছে পাকিস্তান। প্রথম দিন পাকিস্তানের ৯ উইকেট তুলে নিয়েছেন অস্ট্রেলীয় পেসাররা।
ইনিংসের শুরুতে কিন্তু বোলাররা একটু চাপেই ছিলেন। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা অনায়াসেই ৩০০-৪০০ করে ফেলবেন, দুই ওপেনার শান মাসুদ আর আজহার আলীর ব্যাটিং দেখে সেটাই মনে হচ্ছিল। প্রথম উইকেটে ৭৫ রানও তুলে ফেলেছিলেন দুজন। কিন্তু এরপরই শুরু হয় অস্ট্রেলীয় পেসারদের ভেলকি। ৭৫ রানে প্রথম উইকেট হারানো পাকিস্তান আরও ৪ উইকেট হারায় স্কোরবোর্ডে আর ১৯ রান যোগ করতে না করতেই। অধিনায়ক আজহার আর দলের সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজমকে তুলে নিয়ে তখন পাকিস্তানকে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দেন জশ হ্যাজলউড। শান মাসুদ আউট হন প্যাট কামিন্সের বলে, উইকেটের পেছনে হারিস সোহেলকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মিচেল স্টার্ক। ওদিকে স্রোতের বিপরীতে হেঁটে স্পিনার নাথান লায়নকে উইকেট দিয়ে আসেন ইফতিখার আহমেদ।
এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন আসাদ শফিক। দলের খারাপ অবস্থা দেখেই কী না, দ্রুত রান তোলার দিকে মনোযোগ দেন রিজওয়ান, ওদিকে আসাদের লক্ষ্য ছিল উইকেট কামড়ে পড়ে থাকা। সাত চারে ৩৪ বলে ৩৭ রানের এক টি-টোয়েন্টিসুলভ ইনিংস খেলে প্যাট কামিন্সের বলে আউট হন রিজওয়ান। এরপর ইনিংস মেরামতের কাজে স্পিনার ইয়াসির শাহকে পান আসাদ। দুজন কাটিয়ে দেন ২৬ ওভার। মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ইয়াসির করেন ২৬ রান, যদিও ততক্ষণে তাঁর ৮৩ বল খেলা হয়ে গিয়েছে। এরপর পাকিস্তানের লেজটুকু মুড়ে দিতে বেশি সময় নেয়নি অস্ট্রেলিয়া। দিনের খেলার ২২ বল বাকি থাকতেই ২৪০ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। প্যাট কামিন্সের বলে বোল্ড হওয়ার আগে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন আসাদ শফিক।
৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল বোলার জেমস প্যাটিনসনের বদলে সুযোগ পাওয়া মিচেল স্টার্ক। ৩ উইকেট নিয়েছেন কামিন্স, দুটি হ্যাজলউড।