একটা সময় বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের নামই ঠিকঠাক জানত না। মাঠের লড়াইটা এত একপেশে হতো জানার দরকারও তাদের পড়ত না। কিন্তু সময় বদলেছে। এখন বাংলাদেশ দলকে ভালোভাবে জানতে চাচ্ছে, বুঝতে হচ্ছে। বাংলাদেশকে নিয়ে ভীষণ সতর্কই থাকতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে।
অবশ্য বলতে পারেন যে দলের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচ, তাদের সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়া ভালো করে তো জানবেই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও বাংলাদেশ খেলেছে। কিন্তু কার্ডিফে ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগান ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সম্পর্কে এত নিখুঁতভাবে বলতে পারেননি, যেটি আজ বললেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি। তাঁর কথায় বোঝা গেল, টন্টনে হওয়া বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটা খুব মনোযোগ দিয়ে তাঁরা দেখেছেন। শুধু এ ম্যাচই নয়, পুরো ক্রিকেট বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের পারফরম্যান্স তাঁরা সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
যখন প্রশ্ন করা হলো, বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণকে কি ভয় পাচ্ছেন? ক্যারি বললেন, ‘না, আমরা তাদের স্পিন আক্রমণ নিয়ে ভয় পাচ্ছি না। হ্যাঁ, নিজেদের প্রস্তুতি অবশ্যই নিয়ে রাখছি। জানি সাকিব আমাদের বড় হুমকি। বাংলাদেশ দলের হয়ে সে অনেক কিছু করছে এই মুহূর্তে। মেহেদী (মিরাজ) ও আরও দুজন স্পিনার আছে, ভালো করছে। মোস্তাফিজও ভালো বোলিং করছে। এ কন্ডিশন ও তাদের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।’
সাকিবকে বড় হুমকি মানছেন। অস্ট্রেলিয়া নিশ্চয়ই বিশেষ পরিকল্পনা করছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে নিয়ে। ক্যারির দাবি, সাকিবকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা তাঁরা করছেন না, ‘সম্ভবত সে তার ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছে। তার জায়গা, লাইন ও লেংথ বুঝে আমরা বল করব। কন্ডিশনটাও আমরা ভালোভাবে বুঝতে পারব আশা করি। না, তাকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা নয়। প্রতি ম্যাচের আগে যেভাবে পরিকল্পনা করি, সব খেলোয়াড়কে ধরে ধরে যেভাবে বিশ্লেষণ করি, এ ম্যাচেও হবে। যেটা বললেন, সাকিব দুর্দান্ত ছন্দে আছে। লিটন দাসও ভালো খেলছে। সেদিন যে একটা ইনিংস খেলল সে! আসলে ওদের পুরো ব্যাটিং অর্ডার নিয়েই আমরা পরিকল্পনা করব। আশা করি, আমাদের পরিকল্পনা কাজে দেবে।’
ক্যারি আশা করছেন, তাঁদের পরিকল্পনা ঠিকঠাক কাজ করবে। আর বাংলাদেশ লক্ষ্য ঠিক করেছে, অস্ট্র্রেলিয়ার পরিকল্পনা এলোমেলো করে জিতবে! দেখা যাক, ট্রেন্টব্রিজ কী অপেক্ষায় রেখেছে।