জৈব সুরক্ষাবলয়ে এর আগেও দুটি আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজন করেছে বিসিবি। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে একটু বেশিই সতর্ক তারা। ফলে কড়াকড়ির মাত্রাও আগের দুই সিরিজের চেয়ে বেশি। এরই সর্বশেষ ধাপে মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার ও শনিবার প্রয়োজনীয় কাজসংশ্লিষ্ট কর্মী ছাড়া সবারই প্রবেশ বন্ধ করেছে বিসিবি। যে দলের চাহিদা অনুযায়ী বাড়তি অনেক কিছুই করা হচ্ছে, সেই অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কিছু পাচ্ছে বলেই মনে করেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ভাড়া করা বিমানে অস্ট্রেলিয়া ঢাকায় এসে পৌঁছেছে গতকাল। বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকেই বাসে উঠে সরাসরি হোটেলে পৌঁছে কোয়ারেন্টিন করছে তারা। বিমানবন্দর থেকে তাদের হোটেলে নিয়ে যাওয়া ছিল অস্ট্রেলিয়ার চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে বিসিবির ‘প্রথম ধাপ’। বিসিবির এসব আয়োজনে অস্ট্রেলিয়া খুশি বলেই মনে করেন নিজামউদ্দিন।
আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের নিজামউদ্দিন বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, তারা যা পেয়েছে, সেটা তাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। যেসব তথ্য পাচ্ছি, তাতে তারা সবকিছু নিয়ে খুশিই আছে। প্রথম ধাপ ছিল বিমানবন্দর থেকে তাদের হোটেলে নিয়ে যাওয়া। এরপর হোটেলের পরিবেশ নিয়েও তারা খুশি বলেই আমি মনে করি।’
অস্ট্রেলিয়ার এসব বাড়তি চাহিদার ব্যাপারটিকে বড় করে না দেখারও অনুরোধ করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী, ‘এখন যে পরিস্থিতি, তাতে আদর্শ জৈব সুরক্ষাবলয়ের একটা প্রটোকল আছে। সেসবের বাইরে অস্ট্রেলিয়া তাদের যেসব চাহিদার কথা জানিয়েছিল, আমরা সেসব পূরণ করছি। এর বাইরে কিন্তু তেমন কিছু না। বিষয়টিকে খুব বড় করে দেখা ঠিক হবে না। এটাই এখন নিউ নরমাল। এভাবেই ইভেন্টগুলো আয়োজন করতে হবে আমাদের।’
এ সিরিজ সফলভাবে আয়োজন করতে পারলে সামনের সিরিজগুলোতে বিসিবির আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে বলেও ধারণা তাঁর, ‘সবার সহযোগিতায় আমরা যদি এই সিরিজ সফলভাবে শেষ করতে পারি, সামনের সফরগুলোয় সেটির প্রভাব থাকবে। আমাদের আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাবে তখন। আমরা এর আগে আন্তর্জাতিক সিরিজ সফলভাবে আয়োজন করেছি। তিনটা ঘরোয়া টুর্নামেন্ট করেছি। শেষ টুর্নামেন্ট ১২ দলের বলে তো চ্যালেঞ্জটা আরও বড় ছিল। আমরা সফলভাবে সেটা শেষ করতে পেরেছি। এ ব্যাপারে আমাদের দক্ষতা তাই প্রমাণিত। আমাদের একটা অভিজ্ঞ জনবল তৈরি হয়েছে, সেটা কাজে লাগাচ্ছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী।’
মাত্র সাত দিনেই এ সিরিজে হবে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি। এই ঠাসা সূচি বিসিবিকে বাধ্য হয়েই করতে হয়েছে বলে জানালেন নিজামউদ্দিন, ‘এ ছাড়া বিকল্প ছিল না আমাদের। সফরটা অস্ট্রেলিয়া যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত সময়ে শেষ করে ফিরতে চেয়েছে। আবহাওয়ার ব্যাপারটিও বিবেচনায় ছিল আমাদের। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, আমাদের মাঠের পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থাও ভালো...আশা করি, আমরা ঠিকঠাক সব শেষ করতে পারব।’
৩ আগস্ট শুরু হবে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজ।