ওয়ানডের বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের নাম অস্ট্রেলিয়া। তথ্যটি বারবার মনে করিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। কারণ, এটা এখন বিশ্বাস করাই কঠিন। ইংল্যান্ডে গিয়ে যেভাবে নাকানিচুবানি খেয়েছে দলটি, তাতে অমন কিছু মনে থাকে নাকি! সিরিজের পঞ্চম ওয়ানডেতে ১ উইকেটে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। এ হারে একটা লজ্জার রেকর্ডও হলো। ইংল্যান্ডের কাছে এই প্রথম পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাই হলো ওয়ানডের সবচেয়ে সফল দল।
আজকের ১ উইকেটের হার থেকেও অবশ্য তৃপ্তি পেতে পারে অস্ট্রেলিয়া। এ ম্যাচে হারের ব্যবধান যে এ সফরে সবচেয়ে ভালো হয়েছে আজই। এর আগে কোনো ম্যাচে বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে, কোনো ম্যাচে ৩০০ রান তুলেও হেরেছে ৪০ ওভার পেরোতেই। সে তুলনায় মাত্র ২০৫ রান করেও যে মাত্র ১ উইকেটে হারতে পেরেছে, এটাই তো স্বস্তির ব্যাপার।
যে দল গত ২০টি ওয়ানডেতে মাত্র ৪টি জয় পেয়েছে, তাদের কাছ এর চেয়ে আর বেশি কীই-বা আশা করা যায়! বিশ্ব ক্রিকেটে সর্বশেষ ২০ ম্যাচে এতটা বাজে অবস্থায় আছে শুধু শ্রীলঙ্কা। আফগানিস্তান কিংবা আয়ারল্যান্ডের কথা বাদই দিন, হংকং কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে।
আজ অবশ্য বহু কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পেয়েই গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৩৫তম ওভারেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল সফরকারীরা। কিন্তু তাদের মামুলি ২০৫ রানই অনেক বড় হয়ে দেখা দিল ইংল্যান্ডের জন্য। প্রথম ওভারে জেসন রয়ের বিদায়ের পর অষ্টম ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। স্কোর বোর্ডে রান তখন ২৭।
ইংল্যান্ডের বিপদ এরপরও কাটেনি। নিয়মিত বিরতিতে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন একের পর এক ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ৩০তম ওভারে লিয়াম প্লাঙ্কেট যখন অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরছেন, ইংল্যান্ডের রান ১১৪। সফরের প্রথম জয়ের সুবাস পাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু একজনকে যে কোনোভাবেই আউট করতে পারেনি তারা, জস বাটলার।
আদিল রশিদকে (২০) নিয়ে নবম উইকেট জুটিতে স্মরণীয় এক জুটি গড়লেন বাটলার, খেললেন অবিশ্বাস্য এক ইনিংস। ৮১ রানের জুটিতে স্তব্ধ করে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের। জয় থেকে ১১ রান দূরে থাকা অবস্থায় রশিদ আউট হলেও বাটলার হাল ছাড়েননি। জ্যাক বলকে নিয়েই বাকি পথটা অতিক্রম করেছেন। ১২ চার ও ১ ছক্কায় ১১০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। বাটলারের এই ইনিংসে ইংল্যান্ড থেকে খালি হাতে ফিরল অস্ট্রেলিয়া।