বিপিএল

অলরাউন্ডারদের দল খুলনা

২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসর। ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের ঘরোয়া এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে কোন দলের শক্তি কেমন, তা নিয়েই এই ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ পঞ্চম পর্বে পড়ুন খুলনা টাইগার্সের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে—

গতকাল খুলনার প্রথম অনুশীলনে অধিনায়ক মুশফিক
ছবি: প্রথম আলো

খুলনা টাইগার্সের দল গড়ার ক্ষেত্রে ‘ভারসাম্য’ শব্দটা মাথায় ছিল দলটির ম্যানেজার নাফিস ইকবালের। সে জন্যই খুলনায় অলরাউন্ডারের ছড়াছড়ি। মেহেদী হাসান, থিসারা পেরেরা, ফরহাদ রেজা, সিকান্দার রাজা ও সৌম্য সরকারদের ব্যাটিং-বোলিং দুটোই কাজে লাগাতে চায় দলটি। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকেও ব্যাটিং ও উইকেটকিপিংয়ের কারণে ‘অলরাউন্ডার’ বলাই যায়।

খুলনায় খেলছেন ইয়াসির

পাঁচ মূল বোলারের বাইরেও মুশফিকের হাতে আরও দুই বিকল্প বোলার থাকবেন। আর তাতে ব্যাটিং লাইনআপও হবে গভীর। যেকোনো টি-টোয়েন্টি দলের জন্য এমন ভারসাম্য পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। দলটির কোচ ল্যান্স ক্লুজনারও তাই বেশ আশাবাদী, ‘অলরাউন্ডারদের দিকে আমাদের মনোযোগ থাকবে। আমরা দীর্ঘ ব্যাটিং লাইনআপ সাজাতে চাই। তাঁদের কাছ থেকে কয়েক ওভার বোলিংও চাইব।’

খুলনাকে সফল হতে হলে জ্বলে উঠতে হবে স্থানীয় খেলোয়াড়দের। সে ক্ষেত্রে ছন্দে থাকা স্থানীয় ক্রিকেটারদের ওপরই বাজি ধরছেন দলটির ম্যানেজার নাফিস। ইনডিপেনডেন্স কাপে ভালো করা সৌম্য, রনি তালুকদার, মেহেদী হাসানদের উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, ‘স্থানীয় ক্রিকেটারদের বেশির ভাগই সামর্থ্যের দিক থেকে ১৯-২০ পার্থক্য। এ ক্ষেত্রে কে ফর্মে আছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা স্থানীয় খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে ফর্মটা মাথায় রেখেছি। সৌম্য রান করেছে। রনিও ভালো করেছে। রাব্বি-মুশফিকরা টেস্ট দলের সঙ্গেই ছিল। আর মেহেদী তো দুই বছর ধরে দারুণ খেলছে।’

খুমুশফিকই দলের মূল ভরসা

তবে সবকিছুর পরও মুশফিকই হবেন খুলনার মূল খেলোয়াড়। বিপিএলে অবশ্য মুশফিকের প্রমাণের কিছু নেই। ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন এই টুর্নামেন্টে ৮১ ইনিংসে ৩৭ গড় ও ১৩৪ স্ট্রাইক রেটে ২ হাজার ২৭৪ রান করা মুশফিকই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। অধিনায়ককে নিয়ে তাই বড় আশা ম্যানেজার নাফিসের, ‘মুশফিক বাংলাদেশের সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের একজন। খেলাটা সে ভালো বোঝে। অধিনায়ক হিসেবেও দারুণ, সবার জন্য উদাহরণ তৈরি করে চলে। তাকে দলে পাওয়া অবশ্যই ভাগ্যের ব্যাপার।’

খুলনা দল

বিদেশি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও খুলনার ভাগ্য ভালো। ড্রাফটের বাইরে থেকে ভানুকা রাজাপক্ষেকে দলে নিয়েছিল খুলনা। কিন্তু শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড অনাপত্তিপত্র না দেওয়ায় ভানুকাকে পায়নি দলটি। তাঁর জায়গায় ক্যারিবীয় ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারকে নিয়েছে খুলনা। থিসারা পেরেরাও দলটির ব্যাটিং ও বোলিং শক্তি বাড়াবেন। আফগানিস্তানের পেসার নাভিন উল হকের খেলার কথা ছিল পাকিস্তান সুপার লিগে। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পিএসএলে না খেলে চলে এসেছেন বিপিএলে।