>জুনে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত চার মাসে এ নিয়ে তিন অধিনায়কের সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে স্টিভ রোডসের। তিন অধিনায়কের মধ্যে কাকে কেমন লেগেছে সেটিই আজ বললেন বাংলাদেশ কোচ।
অনুশীলন প্রায় শেষ। গনগনে রোদে স্টিভ রোডস তখনো ব্যস্ত। সবার আগে মাঠে ঢোকেন, বের হন সবার শেষে। ভীষণ পরিশ্রমী আর বিনয়ী রোডসকে দেখে আপনার শ্রদ্ধা শুধু বাড়বে।
আচ্ছা কেমন কোচ রোডস? প্রশ্নটা বাংলাদেশ দলের কাউকে করলে প্রথম যে উত্তর আসে, অমায়িক মানুষ বা অসাধারণ মানুষ কিংবা মাটির মানুষ! দারুণ মিশতে পারেন, খেলোয়াড়দের অনেক স্বাধীনতা দেন। তির্যক মন্তব্য কিংবা বকাঝকা নয়, মজা-রসিকতা আর আনন্দের সঙ্গে নিজের কাজটা করে থাকেন।
অবশ্য বাংলাদেশ দলের প্রথম ‘অ্যাসাইনমেন্টে’র শুরুটা খুব বাজে হয়েছিল। রোডস নিজেই বলেন, ‘পৃথিবীর খুব কম কোচেরই এমন অভিজ্ঞতা হয়!’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ যতটা তিক্ততায় ভরা, রোডসের পরের অভিজ্ঞতা ঠিক ততটাই মধুর। লেখা হলো শুধু সাফল্যের গল্প।
রোডসের আরও একটা অভিজ্ঞতা হলো, জুনে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত চার মাসে এ নিয়ে তিন অধিনায়কের সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে তাঁর। ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলে অধিনায়ক ছিলেন সাকিব আল হাসান। ওয়ানডেতে মাশরাফি বিন মুর্তজা তো আছেনই। সাকিব চোটে পড়ায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে আবার ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বটা পালন করবেন মাহমুদউল্লাহ।
রোডস নিজে মূল্যায়ন করেছেন সাকিব ও মাশরাফির, ‘এর আগেও অনেক অধিনায়কের সঙ্গে কাজ করেছি। তবে সাকিব হলো সবচেয়ে সেরা ট্যাকটিক্যাল অধিনায়ক। ওর অসামান্য স্ট্রেংথ রয়েছে। আর ম্যাশ (মাশরাফি) দারুণ একজন মানুষ। সাকিবের চেয়ে ভিন্ন, অনেক প্যাশন আর গৌরব অর্জনের লক্ষ্যে খেলে। সাকিবও সেটি করে। তবে ম্যাশ এটা প্রকাশ করতে পারে। ক্রিকেটারদের কাছ থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে এবং সে ক্রিকেটারদের সেরাটা বের করে আনতে পারে। ও একজন একজন যোদ্ধা এবং দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ম্যাশের সঙ্গে কাজ করতে উপভোগ করি।’
টেস্ট অধিনায়ক সাকিব জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে নেই। তাঁর জায়গায় টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাহমুদউল্লাহ। রোডস এই প্রথম মাহমুদউল্লাহকে দেখবেন টস করতে। তাই তাঁর সম্পর্কে বেশি কিছু বললেন না রোডস, ‘রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) নতুন অধিনায়ক হয়েছে। তাঁর সম্পর্কে খুব বেশি বলতে না পারলেও শুরুর দিকে আমরা কয়েকটি সংক্ষিপ্ত মিটিং করেছিলাম দল নির্বাচনের ব্যাপারে। আশা করি নির্বাচকেরা সেগুলো দেখভাল করবে। আজ তাঁর (রিয়াদ) সঙ্গে আরেকটি মিটিং করব।’
মাহমুদউল্লাহ কেমন অধিনায়ক সেটি জানতে রোডসের অবশ্য বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। পরশু থেকে শুরু সিলেট টেস্ট থেকেই ভালো ধারণা পেয়ে যাবেন বাংলাদেশ কোচ।