ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সফল অধিনায়ক মানা হয় তাঁকে। ভারত বিশ্বকাপের স্বাদ প্রথম পেয়েছিল তাঁর নেতৃত্বেই। কিন্তু সেই কপিল দেবই অধিনায়কত্ব পেয়ে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন!
কপিল নিজেই পরিষ্কার করেছেন ব্যাপারটা, ‘কখনো কখনো কিছু জিনিস আপনি সময়ের আগেই পেয়ে যাবেন জীবনে। পরে বুঝবেন ব্যাপারটার গুরুত্ব। তাঁরা (ভারতের নির্বাচকেরা) যখন আমাকে অধিনায়ক বানালেন, আমার বয়স তখন মাত্র ২৩। আমি বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলাম, তবে খুশিও হয়েছিলাম। ঘাবড়ে গিয়েছিলাম কারণ দায়িত্ব নেওয়ার পর ভাবছিলাম দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের কীভাবে সামলাব। তবে একই সঙ্গে আনন্দিত এই ভেবে যে নির্বাচকেরা আমাকে এই দলের অধিনায়কত্ব করার মতো যোগ্য ভেবেছিলেন।’
কপিল যখন অধিনায়ক হন, ভারতীয় দলে তখনো সুনীল গাভাস্কার, মহিন্দর অমরনাথ, সৈয়দ কিরমানির মতো অভিজ্ঞ তারকারা ছিলেন। এমনকি ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের এক কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত ছাড়া সবাই বয়সে কপিলের চেয়ে বড় ছিলেন। তুলনামূলক কম বয়সী কপিল তাই সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলেন, ‘একটু বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলাম। কেননা সারা জীবন যাঁদের নায়ক ভেবে এসেছি, এখন তাঁদের অধিনায়কত্ব করতে হবে আমাকে। তাই, সে সময়টা কঠিন ছিল। শুধু একটা জিনিসই ভেবেছিলাম, মাঠের মধ্যে আমি তাঁদের অধিনায়ক হলেও মাঠের বাইরে তাঁরাই আমার অধিনায়ক।’
>ভারত প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছে তাঁর অধিনায়কত্বেই। অথচ সেই কপিল দেবই অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর ঘাবড়ে গিয়েছিলেন!
১৯৮৩ বিশ্বকাপে ভারতের জয়যাত্রাকে সেলুলয়েডের ফিতায় বন্দী করে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সম্প্রতি। সেখানে কপিল দেবের ভূমিকায় দেখা যাবে বলিউড তারকা রণবীর সিংকে। কপিল নিজেও সিনেমাটা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত, ‘সিনেমাটা শুধু আমাকে নিয়ে নয়। যেভাবে আমরা ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জিতলাম, তাঁর পুরোটা দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এখানে। আমি সৌভাগ্যবান যে রনবীর সিংয়ের মতো একজন শক্তিশালী অভিনেতা আমার ভূমিকায় অভিনয় করছে।’