বয়স এখনো ১৮ হয়নি। ছোট এ বয়সেই বড় এক কীর্তি গড়ে ফেলেছেন তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের ডোমারাজ গুকেশ। সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে তিনি জিতেছেন ক্যান্ডিডেট টুর্নামেন্ট। আন্তর্জাতিক চেস ফেডারেশনের আয়োজনে এই টুর্নামেন্ট মূলত হয় বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী বের করার জন্য। ক্যান্ডিডেট টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়নই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের শিরোপা জন্য চ্যালেঞ্জ জানান বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে।
১২ বছর ৭ মাস ১৭ দিন বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া গুকেশ এ বছরের শেষে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য লড়বেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীনের ডিং লিরেনের বিপক্ষে। এখনো সেই লড়াইয়ের ভেন্যু এবং সূচি ঠিক হয়নি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চ্যালেঞ্জ জানাতে যাওয়া সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু গুকেশ।
ভারতের দাবাড়ুদের মধ্যে এর আগে ক্যান্ডিডেট টুর্নামেন্ট জিতেছেন একজনই—বিশ্বনাথন আনন্দ। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আনন্দ ক্যান্ডিডেট টুর্নামেন্ট জিতেছিলেন ২০১৪ সালে। সম্ভাব্য ১৪ পয়েন্টের মধ্যে ৯ পয়েন্ট হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন গুকেশ।
এমন কীর্তির পর বিশ্বের তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার গুকেশ অভিনন্দন পেয়েছেন সাবেক ক্যান্ডিডেট চ্যাম্পিয়ন আনন্দের কাছ থেকে। এক্সে এক বার্তায় আনন্দ লিখেছেন, ‘সর্বকনিষ্ঠ চ্যালেঞ্জার হওয়ার জন্য গুকেশকে অভিনন্দন। তোমার কীর্তিতে ডব্লুএসিএ চেস (ওয়েস্টব্রিজ আনন্দ চেস একাডেমি) পরিবার গর্বিত। যেভাবে তুমি খেলেছ আর কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছ, আমি ব্যক্তিগতভাবেও তোমাকে নিয়ে গর্বিত। মুহূর্তটা উপভোগ করো।’
নাক, কান ও গলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাবা এবং অণুজীববিজ্ঞানী মায়ের সন্তান গুকেশের দাবায় হাতেখড়ি ৭ বছর বয়সে। ২০০৬ সালের ২৯ মে পৃথিবীর আলো দেখা গুকেশ দাবায় হাতেখড়ির ২ বছরের মধ্যেই প্রথম শিরোপা জেতেন। ২০১৫ সালে জেতেন অনূর্ধ্ব-৯ এশিয়ান স্কুল চেস চ্যাম্পিয়নশিপ। এর ৩ বছর পর ২০১৮ সালে বিশ্ব ইয়ুথ চেস চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-১২ বিভাগে জেতেন সোনার পদক। আর ২০২২ সালে হাংজুতে এশিয়ান গেমসে ভারতের হয়ে জেতেন রুপার পদক।
২০২২ সালেই আরেকটি কীর্তি গড়েন গুকেশ। সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে তিনি হারিয়ে দেন ম্যাগনাস কার্লসেনকে। পরে কার্লসেন হয়েছিলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।