বাবর আজম ও উসমান কাদিরের বন্ধুত্ব অনেক পুরোনো
বাবর আজম ও উসমান কাদিরের বন্ধুত্ব অনেক পুরোনো

‘বাবরের সঙ্গে বন্ধুত্ব লাভের চেয়ে ক্ষতিই করেছে বেশি’

তাঁর শিরা ও ধমনিতে বইছে লেগ স্পিন কিংবদন্তির রক্ত। তবে বাবা আবদুল কাদিরের মতো উচ্চতায় নিজেকে নিয়ে যেতে পারেননি উসমান কাদির। পাকিস্তান দলে সুযোগ পেয়ে যা একটু সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন, বাদ পড়ার পর সে সম্ভাবনাও ফিকে হয়ে গেছে। এখন তো উসমানের জাতীয় দলে ডাক পাওয়া নিয়েই অনেক সমালোচনা সইতে হয়।

আবদুল কাদিরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। ২০২০ সালে ইমরান দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে জাতীয় দলে সুযোগ পান আবদুল কাদিরের ছেলে উসমান। বন্ধুর ছেলে বলে তদবিরের প্রয়োজন পড়েনি, ঘরোয়া প্রতিযোগিতার পারফরম্যান্সও বিবেচনা করা হয়নি—সে সময় এমন কথাও শুনতে হয়েছে উসমানকে।

এখন আবার উসমানের পাকিস্তান দলে সুযোগ পাওয়ার পেছনে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। পাকিস্তান দলের অধিনায়ক বাবর আজমের ছোটবেলার বন্ধু উসমান। ৩০ বছর বয়সী লেগ স্পিনার একই সঙ্গে বাবরের দূরসম্পর্কের আত্মীয়ও। উসমানের বোনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান উমর আকমলের। আকমল আবার বাবরের চাচাতো ভাই।

তবে স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাতিত্ব কিংবা বাবরের সঙ্গে বন্ধুত্বের কারণে পাকিস্তান দলে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারটি অস্বীকার করেছেন উসমান। ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে উসমান কাদির বলেছেন, ‘বাবরের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব নতুন না। অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে ট্রায়াল দিতে গিয়ে আমাদের পরিচয়। এটা ঠিক যে বাবর (পাকিস্তান জাতীয় দলের) অধিনায়ক হওয়ার পর আমি প্রথমবার দলে সুযোগ পেয়েছি। এর অর্থ এই নয় যে সে আমাকে দলে নিয়ে এসেছে। যিনি আমাকে দলে এনেছিলেন, তিনি মিসবাহ উল হক। কথাগুলো এর আগেও বলেছি। তা ছাড়া বাবর এটা কেন করবে? এটা তো পাকিস্তান দল; ওর দল নয়। সে নিজেও এ কথা স্বীকার করেছে।’

বাবা আবদুল কাদিরকে অনুসরণ করে উসমান কাদিরও লেগ স্পিনার হয়েছেন

বাবরের সঙ্গে বন্ধুত্ব নিজের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে বলে মনে করেন উসমান, ‘বাবরের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব নিয়ে সমালোচনা হয়। যদি ওর সঙ্গে বন্ধুত্বের কারণেই সুযোগ পেয়ে থাকি, তাহলে ও এখনো অধিনায়ক থাকা সত্ত্বেও আমি দল থেকে বাদ পড়লাম কেন? সত্যি বলতে, ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব আমার লাভের চেয়ে ক্ষতিই করেছে বেশি। ব্যাপারটা আমাদের দুজনের ওপরই সমানভাবে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে।’

পাকিস্তানের হয়ে এ পর্যন্ত ২৩ টি-টোয়েন্টি ও একটি ওয়ানডে খেলেছেন কাদির। রঙিন পোশাক-সাদা বলের দুই সংস্করণ মিলিয়ে নিয়েছেন ৩০ উইকেট। জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ খেলার সুযোগ পেয়েছেন ১১ মাস আগে। ৩০ বছর বয়সী লেগ স্পিনারের দাবি, তাঁকে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়নি। নিয়মিত একাদশে থাকলে আরও অবদান রাখতে পারতেন।

এর আগেও স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একই ধরনের অভিযোগ এনেছিলেন উসমান, ‘আমাকে নিয়মিত সুযোগ দেওয়া হয়নি। এক বা দুই ম্যাচ খেলিয়েই বসিয়ে রেখেছে। দলে সুযোগ পাওয়ার আশা আর করি না। আমি খেলা চালিয়ে যাব কি না, তা-ও জানি না।’