কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে মেসি ও এমবাপ্পে
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে মেসি ও এমবাপ্পে

বিশ্বকাপ ফাইনালের পর কেমন হবে মেসি–এমবাপ্পের সম্পর্ক

বিশ্বকাপ ফাইনালের পর লিওনেল মেসি আর কিলিয়ান এমবাপ্পের সম্পর্কটা কেমন দাঁড়াবে, এটা এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। পিএসজিতে দুজন এক বছর ধরে সতীর্থ ঠিকই, ওপর দিয়ে আপাতদৃষ্টে তাঁদের সম্পর্কটা ভালোই দেখা যায়, কিন্তু আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের মধ্যকার অমন রূদ্ধশ্বাস, নাটকীয় ফাইনালের পর সেটি কেমন হবে!

এমনিতেই বিশ্বকাপ জেতার পর আর্জেন্টাইন ড্রেসিংরুমে এমবাপ্পেকে ব্যঙ্গ করে গান, দেশে ফেরার পর জয়োৎসবে এমবাপ্পের ব্যঙ্গাত্মক পুতুল ব্যবহার করা নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। এসব যেকোনোভাবেই তো ফরাসি তারকাকে ছুঁয়ে যাওয়ার কথা। হাজার হলেও তিনি মানুষ তো!

বিশ্বকাপ ফাইনালটা অন্য অর্থে মেসি আর এমবাপ্পের লড়াইও ছিল। গোল্ডেন বুট আর গোল্ডেন বল নিয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে দুই পিএসজি সতীর্থের। ফাইনালে মেসি, এমবাপ্পে দুজনই গোল পেয়েছেন। তবে এমবাপ্পে এক ধাপ এগিয়ে গেছেন ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে জিওফ হার্স্টের হ্যাটট্রিকের পর প্রথম হ্যাটট্রিকটা করে। গোল্ডেন বল না পেলেও গোল্ডেন বুটটা তিনি পেয়েছেন বিশ্বকাপে ৮ গোল করে। তবে গোল্ডেন বলটাও যে এমবাপ্পের পাওয়া উচিত ছিল, তা নিয়ে কথাবার্তাও আছে সাবেক তারকাদের মধ্যে।

বিশ্বকাপ ফাইনালের এক পর্যায়ে মেসি–এমবাপ্পে কেউ কারও দিকে তাকাননি

ফাইনালে লড়াইয়ের তীব্রতা দুজনের সম্পর্কে কি কোনো প্রভাব রাখবে? পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের অবশ্য সেটি মনে করেন না। আজ প্যারিসে স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ফ্রেঞ্চ লিগের ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে গালতিয়ের আশা প্রকাশ করেছেন, দুজনের সম্পর্ক খারাপ হবে না।

পিএসজি কোচ বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনায় এমবাপ্পেকে নিয়ে কী ঘটেছে, আমি জানি না। জানতেও চাই না। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে মেসি কি এমবাপ্পেকে অসম্মান করেছে? অবশ্যই না। ফাইনালের পর মেসি এমবাপ্পের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, তাকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিয়েছে। এমবাপ্পেও মেসি বিশ্বকাপ জেতার পর অভিনন্দন জানিয়েছে। তার ও কোচ স্কালোনির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। দুজনই আচরণে উদাহরণ গড়েছে। এটাই আসল। তাই সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোনো কারণই নেই।’

বুধবার বিশ্বকাপ ফাইনালের পর প্রথম মাঠে নামবেন এমবাপ্পে। স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অনুশীলনও করেছেন। মেসি অবশ্য পিএসজির তিনটি ম্যাচ খেলতে পারবেন না। বিশ্বকাপ জেতার পর উৎসব–উদ্‌যাপনটা এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

বিশ্বকাপ জয়ের পর পিএসজি সভাপতি নাসের আল–খেলাইফির সঙ্গে মেসি

গালতিয়ের আশা প্রকাশ করেছেন, দ্রুতই মেসিকে পাওয়া যাবে, ‘আমি আশা করছি, জানুয়ারির ৩–৪ তারিখের দিকে মেসি প্যারিসে ফিরবে। ১১ জানুয়ারি অঁজের বিপক্ষে ম্যাচটি সে খেলবে।’

স্ত্রাসবুর্গ, লিওঁ ও শাতোরু—এই তিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পিএসজি পাচ্ছে না মেসিকে।