ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার
ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার

ওয়ানডেতে কার ব্যাটে ত্রিশতক দেখছেন গাভাস্কার

আশির দশকে ভিভ রিচার্ডসের ১৮৯ রানের সেই ওয়ানডে ইনিংস বিস্মায়ভূত করেছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। ক্রিকেটীয় ফোকলরে সেই ইনিংস চিরস্থায়ী হয়ে গেছে।

সিকি শতক আগে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের সাঈদ আনোয়ারের সেই বিধ্বংসী ১৯৪ রানের ইনিংস আক্ষেপ ছড়িয়েছিল তাঁর ভক্তদের মধ্যে—ওই দ্বিশতক না করতে পারারই আক্ষেপ। ওয়ানডে ক্রিকেটে সাঈদ আনোয়ারের ১৯৪ রেকর্ড হয়ে টিকে ছিল অনেক বছর।

১২ বছর পর, ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের চার্লস কভেন্ট্রি বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে দ্বিশতকের আশা জাগালেও তিনিও আটকে গিয়েছিলেন ১৯৪ রানেই। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দ্বিশতকটি অবশ্য শেষ পর্যন্ত পেয়েছেন শচীন টেন্ডুলকারই। ২০১০ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। টেন্ডুলকারের দেখানো পথে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দ্বিশতক আছে রোহিত শর্মা, ক্রিস গেইল, বীরেন্দর শেবাগ, ফখর জামান, মার্টিন গাপটিল ও ঈশান কিষানের। এর মধ্যে রোহিতের একারই আছে তিনটি দ্বিশতক। ওয়ানডেতে ২৬৪ রানে অপরাজিত থেকে সর্বোচ্চ রানটা এখন তাঁরই দখলে।

ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথম দ্বিশতকের কীর্তি গড়েন শচীন টেন্ডুলকার

এই কিছুদিন আগে ওয়ানডে সর্বশেষ দ্বিশতকটি দেখল চট্টগ্রামে। সেটি এল তরুণ ঈশান কিষানের ব্যাটে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রামে ঈশানের ইনিংসটি ত্রিশতকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। বিরাট কোহলির সঙ্গে ১৯০ বলে ২৯০ রানের জুটি গড়েছিলেন। সে ম্যাচে ৩৬ ওভারে আউট হন ঈশান। ওয়ানডে ক্রিকেট ৫১ বছরের ইতিহাসে সেদিনই দেখে ফেলতে যাচ্ছিল প্রথম ব্যক্তিগত ত্রিশতকটি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে কদিন আগে দ্বিশতক করেছেন ঈশান কিষান

ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার মনে করেন, সেদিন ত্রিশতকের দেখা দুর্ভাগ্যক্রমে না মিললেও সেটি অচিরেই দেখা যাবে। এবং সেটি ঈশান কিষানের ব্যাট থেকেই। কেন তিনি এমনটা মনে করছেন, সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি, ‘ঈশান বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রামে দ্বিশতকটি করে নিজের জাত চিনিয়েছে। ৫০ ওভারের ম্যাচে দ্বিশতক দুর্দান্ত কীর্তি। ঈশান সেটি করে ফেলল খুব সহজেই। মাত্র ৩৫–৩৬ ওভারের মধ্যেই সে তা করেছে। এভাবে যদি খেলতে পারে, তাহলে সে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ত্রিশতকটি পেতেই পারে। যেভাবে সে ব্যাটিং করে, তাতে ত্রিশতক সে করতেই পারে।’