সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে মুশফিকুর রহিম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মাত্র একটি, আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত মার্চে। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য শেষ জিম্বাবুয়ে সফরের আগেও ছিলেন অধিনায়ক। সে সফরে শেষ পর্যন্ত একটি ম্যাচ খেললেও অধিনায়কত্ব করেননি। এশিয়া কাপের দলে ফিরেছেন মুশফিক, নেতৃত্ব হারালেও আছেন মাহমুদউল্লাহ।
দুজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকেই ‘সিস্টেমের’ গুরুত্বপূর্ণ অংশ মনে করছেন সাকিব। আর মুশফিকের উইকেটকিপিং প্রসঙ্গে বলছেন, উইকেটের পেছনে মুশফিক থাকলে ‘জীবনটা অনেক সহজ হয়ে যাবে’ তাঁর।
মুশফিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বশেষ কিপিং করেছেন ২০২০ সালের মার্চে। টেস্টের মতো এ সংস্করণেও গ্লাভস সামলানোর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিপিং করা লিটন দাস চোটের কারণে দলে নেই, অনিশ্চিত জিম্বাবুয়ে সফরে আঙুল ভেঙে ফেলা নুরুলও। দলে উইকেটকিপিং করার মতো আছেন দুজন—এনামুল হক ও মুশফিক।
তবে কিপিংয়ের কারণে বরাবরই আলোচনায় থাকা মুশফিককেই এশিয়া কাপে উইকেটের পেছনে চান, আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন সাকিব। আজ তিনি বলছিলেন, ‘উইকেটকিপিং উনি করলে আমার জীবনটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এটার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, টি-টোয়েন্টিতে সময়টা খুব কম থাকে। যেটা হয়, ফিল্ডিংয়ের অ্যাঙ্গেলগুলো উনি খুব সহজে বদলাতে পারেন। আমার কাছে শোনারও দরকার নাই। আমার জীবনটা অনেক সহজ হয়ে যায়। আমি অন্য একটা-দুটো বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে পারব। কারণ, আমার পক্ষে ১১টা খেলোয়াড় সব সময় দেখা সম্ভব না। একমাত্র কিপারই আছে, যে এটা ভালো দেখতে পারে। ওনার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকলে এগুলো সহজ হয়ে যায়।’
মুশফিকের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ—দুজনকেই দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশই মনে করছেন সাকিব, ‘যেটা হচ্ছে যে ওনারা দুজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই সিস্টেমের। ওনারা এটা সম্পর্কে অবগত, জানেন দায়িত্বটা কী, জানেন ওনাদের চ্যালেঞ্জ কী কী। ঠিক কোন পরিস্থিতিতে আছেন, সেটিও জানেন। আমার এখানে আলাদা কিছু বলার নেই। এত দিন খেলার পর আসলে পুরো পরিস্থিতি নিয়েই সচেতন তাঁরা। আমরাও জানি, ওনাদের কাছ থেকে আমরা কী প্রত্যাশা করছি। যেটা আমি বললাম, দলের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
এ দফায় অধিনায়কত্বের প্রথম সিরিজেই কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে পাচ্ছেন না সাকিব। আর সবার মতো সাকিবও এটিকে দেখতে চান নতুনদের সুযোগের উপলক্ষ হিসেবে, ‘(চোটের কারণে মূল খেলোয়াড়রা নেই বলে) দুর্ভাগা, এভাবে মনে করার কিছু নাই। যেটা হচ্ছে যে একটা জায়গাতে যখন নতুন কিছু খেলোয়াড় আসবে, ওদের জন্য একটা সুযোগ তৈরি হয়। আপনি যদি দেখেন, এখন যারা খেলবে, তাদের জন্য কিন্তু একটা বড় সুযোগ তৈরি হয়। তাদের অনেক কিছু দেখানোর আছে। আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত না একজন সৈন্যকে যুদ্ধে পাঠাবেন, ততক্ষণ কিন্তু আপনি জানবেন না, ওর সামর্থ্য কত। আপনি হয়তো ভাবলেন, দাবার সৈন্য হিসেবে পাঠাচ্ছেন, পরে মন্ত্রী হয়েও বের হয়ে আসতে পারে।’