দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ রোববার সচিবালয়ে অফিস করেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। দেশের ক্রীড়া বিষয়ে আপতত তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছেন আসিফ মাহমুদ।
এই তিনটি বিষয়ের একটি শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন। অন্য দুটি বাংলাদেশে হতে যাওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ভবিষ্যৎ।
শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট নিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আছে। আমরা এটার নাম পরিবর্তন করতে চাই। যেহেতু বাংলাদেশের একটা ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে শেখ হাসিনার নাম জড়িত আছে এবং হাজার-সহস্র ছাত্র–জনতা মারা গিয়েছে। আমরা মনে করি, তিনি এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। সে জায়গা থেকে এটা শুধু আমাদের মন্ত্রণালয়ে নয়, প্রতিটি স্থানেই এটা করা হবে। শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট নামটা পরিবর্তন করে আমরা বাংলাদেশ জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট করছি।’
এ বছর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ৩ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত হওয়ার কথা বাংলাদেশে। কিন্তু হঠাৎই বদলে যাওয়া দেশের এ পরিস্থিতিতে এটা আয়োজন করা সম্ভব কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, ‘নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিষয়ে আমরা বিসিবির সঙ্গে কথা বলেছি। যে বিষয়গুলো আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে কিছু কাজ করার ব্যাপার আছে। আমি আজই যমুনাতে (প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বাসভবন) এ বিষয়ে ইউনূস স্যারের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলব। তিনি একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ, তিনি আমাদের এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।’
আসিফ মাহমুদ এরপর যোগ করেন, ‘আমরা রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। কিছু দেশের ভ্রমণবিষয়ক বিধিনিষেধ আছে, দেখি সেটা কীভাবে সমাধান করা যায়। আর অবকাঠামোগত কিছু বিষয় আছে। মাননীয় সচিব আমাকে নিশ্চিত করেছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য সেগুলো শেষ হয়ে যাবে।’
বিসিবি নিয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা নিয়মের মধ্যে থেকেই সবকিছুর সমাধানের কথা বলেছেন, ‘সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যিনি আছেন, তিনি অনুপস্থিত আছেন। কিন্তু বিসিবি আইসিসির অধীনে একটি ফেডারেশন। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। যাঁরা বিসিবির পরিচালক আছেন, তাঁরা আইসিসির নিয়মের মধ্যে থেকে কীভাবে বিষয়টি সমাধান করা যায়, সেটি দেখবেন। অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় কি না, সেই বিষয়ে তাঁরা আমাদের পরবর্তী সময়ে জানাবেন। এ বিষয়ে আমরা প্রক্রিয়াটি চালু রাখব।’