দুই দশক আগেও যে ক্রিকেটের অস্তিত্ব ছিল না, এখন সেই টি-টোয়েন্টিই বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংস্করণ। সম্প্রতি আইসিসি যে ভবিষ্যৎ সফরসূচি (এফটিপি) প্রস্তুত করেছে, সেখানেও টি-টোয়েন্টির জন্য কাটছাঁট করা হয়েছে টেস্ট ও ওয়ানডে ম্যাচে।
দেশে দেশে চালু হওয়া টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগই ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ—মনে করছেন অনেকে। ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকসের মতে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিন দিন ‘ব্যবসায় পরিণত হচ্ছে’। টেস্টই ক্রিকেটের আসল ‘চূড়া’ বলে মনে করেন স্টোকস।
ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথের মতো কারও কারও ধারণা, টেস্ট ক্রিকেট ভবিষ্যতে পাঁচ থেকে ছয় দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে।
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক টেনে আনেন টি-টোয়েন্টিকে, ‘দেখুন, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট এখন দেশে দেশে ছড়িয়ে গেছে। আপনি বলতে পারেন, কিছু মানুষের জন্য টি-টোয়েন্টি এখন ব্যবসায় পরিণত হচ্ছে। এতে কিন্তু ক্রিকেটের জন্য ভালো দিকও আছে। সুযোগ বাড়ছে, যা ১৫ বছর আগেও ছিল না। ক্রিকেটের বাইরের জীবন, নিরাপত্তা এবং টাকা—এগুলো কিন্তু ১৫ থেকে ২০ বছর আগেও ছিল না।’
টি-টোয়েন্টির কারণে ক্রিকেটারদের জীবনযাপনে আর্থিক নিরাপত্তা বাড়লেও দিন শেষে পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচই খেলাটির সর্বোচ্চ চূড়া বলে মনে করেন ৩১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার, ‘টেস্ট ক্রিকেট কিন্তু হারিয়ে যাবে না। আমি এই সংস্করণের বড় অনুরাগী। এটাই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ চূড়া। শুদ্ধতম সংস্করণ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চেহারা বদলে দিলেও টেস্ট হারিয়ে যাবে না। শুধু আমি নই, বিশ্ব ক্রিকেটের বড় তারকাদের সবাই একই অনুভূতি ধারণ করেন। আমি মনে করি, সবার দায়িত্ব হচ্ছে এ বার্তা দিয়ে রাখা, টেস্ট ক্রিকেট এখনো মরে যায়নি।’
ক্রিকেটের নানা বিষয়ে স্টোকস কথা বলেছেন অ্যামাজন প্রাইম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে। শুক্রবার ওটিটি প্লাটফর্মটিতে মুক্তি পাবে তাঁকে নিয়ে অ্যামাজন প্রাইমের বানানো প্রামাণ্যচিত্র ‘ফিনিক্স ফ্রম দ্য অ্যাশেজ’।