আবারও সেই শেষ মুহূর্তে গোল খাওয়ার হতাশা। এএফসি অনূর্ধ্ব–২০ বাছাইপর্বে গুয়ামের বিপক্ষে জয়ের প্রত্যাশাই ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২০ দলের। কিন্তু ভিয়েতনামের মাটিতে সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ৮৭তম মিনিটে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ যোগ হওয়া সময়ে গোল খেয়ে ২-২ ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
নেপালে সাফ অনূর্ধ্ব–২০ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন দলের বেশ কয়েকজন ভিয়েতনামে নেই। শনিবার প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী সিরিয়ার বিপক্ষে ৪–০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে দেশ ছাড়ার আগে কোচ মারুফুল হক গ্রুপে গুয়াম আর ভুটানের বিপক্ষে জেতার কথা বলেছিলেন। গ্রুপে বাংলাদেশের আরেক প্রতিপক্ষ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ভিয়েতনাম।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই রাজু আহমেদ জিশানের চমৎকার ক্রসে পা ছুঁইয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন নেপালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বোচ্চ গোলদাতা মিরাজুল ইসলাম। ১–০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ আরও আক্রমণে গেছে, গোলের সুযোগও তৈরি করেছে, কিন্তু ব্যবধান বাড়াতে পারছিল না। ইফতিয়ার হোসেন, আশরাফুল হক আসিফ, পিয়াস নোভা, আসাদুল সাকিবরা গুয়ামের রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রাখলেও ৭৫ মিনিট পর্যন্ত ১-০ ব্যবধান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
৭৫ মিনিটে গুয়ামের কর্টিস হারমন ডান প্রান্ত থেকে বক্সে একটি ক্রস ফেললে সেটি বিপদমুক্ত করতে গিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক ও মিডফিল্ডার আশরাফুল হক আসিফের হাতে বল লাগে। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান গুয়াম মিডফিল্ডার সুনতারো সুজুকি। ম্যাচে সমতা ফেরানোর পর বাংলাদেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আক্রমণ করে গেছে গুয়াম। তবে ৮৭ মিনিটে গুয়ামের রক্ষণের ভুলে আবার এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। গুয়ামের বক্সের মধ্যে বল কেড়ে নিয়ে ২-১ করেন বদলি নামা ফরোয়ার্ড মইনুল ইসলাম।
এগিয়ে যাওয়ার পর কিছুটা গা ছাড়া হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এ সময় গুয়ামকে খেলার যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে শট নেন গুয়াম ফরোয়ার্ড কার্টিস হারমন, সেটি ঠেকাতে পারেননি বাংলাদেশের গোলকিপার ইসমাইল মাহিন। অমনোযোগী রক্ষণভাগের কারণে জয় হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের।