আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মঈন আলী
আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মঈন আলী

একই সময়ে দুই লিগ, দুটিতেই মঈনের নাম

প্রায় কাছাকাছি সময়ে শুরু দুই লিগ। ফলে একটিতে খেললে আরেকটিতে খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে মঈন আলীর নাম আছে দুটি লিগেই। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি (আইএল টি-টোয়েন্টি) ও দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন শুরু হতে যাওয়া লিগ—ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার শেষ পর্যন্ত কোনটিতে খেলবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

দুটি নতুন লিগেই আছে ভারতীয় বিনিয়োগ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের লিগটির তিনটি, দক্ষিণ আফ্রিকার লিগের সব কটি দলই তো আইপিএলের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানাধীন। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসে খেলা মঈন স্বাভাবিকভাবেই ছিলেন ওই ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানাধীন জোহানেসবার্গের দলে।

তবে বিপত্তি ঘটেছে আরব আমিরাতের লিগে শারজার দলে মঈনের নাম আসায়। কাপ্রি গ্লোবালস নামে ভারতীয় একটি কোম্পানির মালিকানাধীন শারজা ওয়ারিয়র্সের ওই দলে মঈন ছাড়াও ইংল্যান্ড থেকে আছেন ডেভিড ম্যালান, ক্রিস ওকস, টম কোওলের-ক্যাডমোর, ক্রিস বেঞ্জামিন ও ড্যানি ব্রিগস। আগামী বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হওয়ার কথা আইএল টি-টোয়েন্টি।

যেখানেই খেলুন না কেন, আন্তর্জাতিক দায়িত্বও পালন করতে হবে তাঁর

ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, মঈন নাকি আরব আমিরাতের লিগে খেলবেন বলে সম্মত হয়েছেন। মঈনের এমন সিদ্ধান্ত শুনে অন্যদিকে অবাক চেন্নাই সুপার কিংসের প্রধান নির্বাহী কাসি বিশ্বনাথান, ‘আমরা মাত্রই জানলাম। তার কাছ থেকেই ব্যাপারটি বুঝতে হবে আমাদের।’

অবশ্য মঈনসহ চূড়ান্ত স্কোয়াড দেখে খুশি শারজা কোচ আর শ্রীধর, ‘শীর্ষ পর্যায়ের আইপিএল দলগুলো যখন খেলোয়াড় খুঁজছে, তখন একটা দল দাঁড় করানো সহজ নয়। খেলোয়াড়েরা আইপিএলের দল বেছে নেওয়ার দিকে ঝুঁকবে। কারণ, এতে করে আইপিএলে খেলার দুয়ার খুলে যাবে। তবে আমরা চূড়ান্ত স্কোয়াড পেয়ে খুশি। মানসম্পন্ন আন্তর্জাতিক কিছু অলরাউন্ডার আছে আমাদের—মঈন, মোহাম্মদ নবী, ক্রিস ওকস।’

এর আগে অবশ্য ঠিক হতে হবে, মঈন শেষ পর্যন্ত কাদের হয়ে খেলবেন। তবে যেখানেই খেলুন না কেন, আন্তর্জাতিক দায়িত্বও পালন করতে হবে তাঁর। টেস্ট থেকে অবসর নিলেও সীমিত ওভারে ইংল্যান্ড দলের নিয়মিত সদস্য তিনি। আগামী বছরের জানুয়ারির শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির শুরু পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা আছে ইংল্যান্ডের।

এদিকে নতুন দুটি লিগের কারণে চাপে পড়ছে বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগ বিপিএলও। অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগের সঙ্গে আগে থেকেই বিপিএলের সূচি সাংঘর্ষিক ছিল, এবার আরব আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকার দুটি লিগের সঙ্গে চলবে এটি। গত মৌসুমে বিপিএলে খেলে যাওয়া মঈনের মতো বেশ কয়েকজন বিদেশি তারকাকেই তাই পাবে না বিপিএল। নতুন দুটি লিগও দল গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। তবে বিপিএলে এখন পর্যন্ত ঠিক হয়নি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানাই। সাতটি দলের মালিকানার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে বিসিবি, যেটির আবেদনের শেষ দিন ৩০ আগস্ট।