‘মিরাজ কী বলে গেল?’
সংবাদ সম্মেলনে প্রবেশের আগেই এক সাংবাদিককে প্রশ্নটা করলেন নুরুল হাসান। রংপুর রাইডার্সের এই অধিনায়কের কৌতূহলী হওয়ার কারণ আছে। ফরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্স ম্যাচে ‘সাকিব-কাণ্ড’ নিয়ে বরিশালের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মেহেদী হাসান মিরাজের কথাটা জানতে চাইছিলেন রংপুরের অধিনায়ক। তাঁকেও যে একই প্রসঙ্গে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে, সেটা নুরুলও জানতেন।
সে জন্য নুরুলকে মানসিকভাবে প্রস্তুতও মনে হচ্ছিল। আম্পায়ার গাজী সোহেলের সঙ্গে সাকিবের মাঠের সেই দৃষ্টিকটু মুহূর্তে কী কথা হচ্ছিল জানতে চাওয়া হলে নুরুল জানান, ‘সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে যখন তর্কাতর্কি হয়েছে, তখন তো আমি ছিলাম না। আমি অন্যদিকে ছিলাম। কী কথা হয়েছে, আমি জানি না।’ বারবার বোলার বদলানোর উত্তরটা নুরুল দিয়েছেন রসিকতা করে, ‘আমি দেখছিলাম, সাকিব ভাই বাইরে থেকে যখন চিল্লাচ্ছে, এ জন্য আমিও বদলাচ্ছিলাম (বোলার)।’
পরে অবশ্য নুরুল ব্যাখ্যা করেছেন, ‘আমি অবশ্যই চাইব ওদের সেরা ব্যাটারের বিপক্ষে আমার সেরা বোলার বল করুক। মাঠের এক পাশে বড়, আরেক পাশে ছোট ছিল। আমি চাইছিলাম মেহেদী যে আমার দলের সেরা বোলার, বাঁহাতির বিপক্ষে সে-ই করুক, ডানহাতির বিপক্ষে রকিবুল। আমার কাছে মনে হয়, এটা ফেয়ার এনাফ। যে জিনিসটা হয়েছে, একটা পর্যায়ে এটা হয়তো দুষ্টামির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল।’
নুরুলের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে মিরাজও একই কথা বলে গেছেন, ‘ওরাও সুবিধা নিতে চাইছিল। হয়তো দুষ্টামি করছিল সোহান ভাই।’
আম্পায়ারের দিকেও আঙুল তুলেছেন নুরুল, ‘আম্পায়ারের আগে বলা উচিত ছিল। আম্পায়ার তো কিছু বলেনি। আম্পায়ার কথা বললে আরেকটু আগে সমাধান হতো। আমাকে যখন বলেছে, আর কোনো তর্ক করিনি। পরে তো সেটাই হয়েছে, ব্যাটাররা যা চেয়েছে, ওটাই করেছে। যখন ব্যাটার মাঠে ঢুকছে, আমি জিজ্ঞেস করেছি কে স্ট্রাইক নেবে। পরে যখন যখন বাইরে থেকে আবার কথা আসছে; তখন আমি (বোলার) বদলেছি।’ সাকিবের মাঠে প্রবেশ করার মতো ঘটনা এর আগে নুরুল কখনো দেখেননি বলে জানিয়েছেন, ‘আজকে দেখলাম। প্রথমবার।’
নিয়ম অনুযায়ী খেলা চালাকালে সাকিবের মাঠে প্রবেশ করার কথা নয়। মাঠে প্রবেশ করতে হলে রিজার্ভ আম্পায়ারের অনুমতি নিতে হতো সাকিবের। মিরাজ অবশ্য জানিয়েছেন, সাকিব নাকি অনুমতি নিয়েই মাঠে প্রবেশ করেছেন। মিরাজের কথা, ‘আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেছে। এখানে যে থার্ড (ফোর্থ) আম্পায়ার ছিল, তাঁর সঙ্গে তো প্রথমে কথা বলেছে।’
পরে জানা গেছে, মাঠে অসদাচরণের জন্য সাকিব ও নুরুলকে জরিমানা গুনতে হচ্ছে। দুজনকেই ম্যাচপ্রতি পারিশ্রমিকের ১৫ শতাংশ জরিমানা করেছেন ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ।