কমনওয়েলথ গেমসে আজ টেবিল টেনিসে জয় পেয়েছেন সোনাম সুলতানা (বাঁয়ে) ও সাদিয়া রহমান।
কমনওয়েলথ গেমসে আজ টেবিল টেনিসে জয় পেয়েছেন সোনাম সুলতানা (বাঁয়ে) ও সাদিয়া রহমান।

কমনওয়েলথ গেমস

টেবিল টেনিসে জয়ে শুরু সাদিয়া ও সোনামের

বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসের সুইমিং পুলে সাঁতারুরা পড়ে থাকছেন হিটে সবার পেছনে। প্রথম রাউন্ডেই বাদ পড়ছেন বক্সাররা। অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক থেকেও কোনো সুখবর দিতে পারছেন না কেউ। ভারোত্তোলনে হয় অযোগ্য বিবেচিত হচ্ছেন, নয়তো প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল আসছে না। শুধু টেবিল টেনিসেই যা একটু সুখবর আসছে ইংল্যান্ড থেকে। গেমসের শুরুতে টেবিল টেনিসের পুরুষ দলগত ইভেন্টে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন রামহিম লিয়ন বম, মুহতাসিন আহমেদদের বাংলাদেশ দল। আজ মেয়েদের এককের প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচেও জয় পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই খেলোয়াড় সাদিয়া রহমান ও সোনাম সুলতানা। জিতেছেন ছেলেদের এককে রিফাত সাব্বির।

সাদিয়া ৪-০ সেটে হারিয়েছেন ভানুয়াতুর রোয়ানা আবেলকে। তিনি বেশ দাপটের সঙ্গেই জিতেছেন প্রতিটি সেট। প্রথম সেট ১১-৭ পয়েন্টে জেতার পর দ্বিতীয় সেট জেতেন ১১-৫ পয়েন্টে। এরপর তৃতীয়টি ১১-৬ পয়েন্টে ও চতুর্থটি ১১-২ পয়েন্টে জেতেন সাদিয়া। পুরো ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট পাওয়া সাদিয়া সার্ভিস থেকেই নিয়েছেন ২৭ পয়েন্ট।

সলোমন দ্বীপপুঞ্জের কনি সিফির সঙ্গে সোনাম সুলতানা

এরপর সাদিয়ার মতোই দাপুটে জয় তুলে নিয়েছেন সোনাম সুলতানা। তিনি সলোমন দ্বীপপুঞ্জের কনি সিফিকে হারিয়েছেন ৪-০ ব্যবধানে। প্রথম সেটে ১১-১ পয়েন্টে জয়ের পর দ্বিতীয় সেটে সোনাম জেতেন ১১-৬ পয়েন্টে। এরপর তৃতীয়টিতে ১১-২ ও চতুর্থটিতে ১১-৪ পয়েন্টে হারিয়ে দেন সোনাম। ম্যাচের ৪৪ পয়েন্টের মধ্যে সোনাম সার্ভিস থেকে নিয়েছেন ২১ পয়েন্ট। সোনাম গ্রুপের পরের ম্যাচে খেলবেন কানাডার ক্যাথেরিন মরিনের বিপক্ষে। এবং সাদিয়া পরের ম্যাচটি খেলবেন নাইজেরিয়ার ইসথার ওরিবামিসের বিপক্ষে। এ দুটি ম্যাচে জিততে পারলে দুজনই পৌঁছে যাবেন দ্বিতীয় রাউন্ডে। ওদিকে ছেলেদের এককের প্রথম ম্যাচে রামহিম লিয়ন বম ৪-০ গেমে হেরেছেন উত্তর আয়ারল্যান্ডের ওয়েন কাথকার্টের কাছে। তবে ছেলেদের এককের প্রথম ম্যাচেও রিফাত সাব্বির ৪–৩ সেটে হারিয়েছেন মালদ্বীপের মূসা মুন্সেফ আহমেদকে।

এবারের কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেওয়া সাতটি খেলার মধ্যে শুধু টেবিল টেনিস দলই নিজেদের যোগ্যতায় সরাসরি খেলতে গেছে বার্মিংহামে। যদিও অন্য দলগুলোর মতো তেমন সুযোগ–সুবিধা পায়নি তারা। অনুশীলনের জন্য ঘুরতে হয়েছে যাযাবরের মতো এখানে–সেখানে। পল্টনের শহীদ তাজউদ্দীন উডেন ফ্লোর ইনডোরে সংস্কার কাজ চলায় কখনো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নতুন ভবনের ছোট বারান্দায় অনুশীলন করেছেন। কখনো কারও ‘ব্যক্তিগত’ ইনডোরে করেছেন অনুশীলন। তবু প্রস্তুতিতে ঘাটতি রাখেননি। আর সেটিরই ফল যেন মিলছে বার্মিংহামে।