অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান জিতেছে দেশটির নারী ফুটবল দল। বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স দিয়ে জাতীয় খেলায় ‘দারুণ পরিবর্তন’ এনে দেওয়ার কারণে আজ ‘দ্য ডন’ নামের এ পুরস্কার জিতেছে স্যাম কারের দল। তারা টপকে গেছে বিশ্বকাপজয়ী প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলকে।
এ বছর সেমিফাইনালে গিয়ে ইংল্যান্ডের কাছে হারার আগে নিজেদের মাটির বিশ্বকাপে গোটা দেশের আগ্রহ কেড়েছিল ‘মাটিলডা’রা। ফুটবল বিশ্বকাপে প্রথম কোনো অস্ট্রেলিয়ান দল হিসেবে এত দূর যায় তারা।
দ্য স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া হল অব ফেম প্রতিবছর ক্রীড়াক্ষেত্রে এ সম্মান দিয়ে থাকে। ১৯৯৮ সাল থেকে কিংবদন্তি ক্রিকেটার ডোনাল্ড ‘ডন’ ব্র্যাডম্যানের নামে প্রবর্তিত ‘দ্য ডন অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়।
অস্ট্রেলিয়া নারী ফুটবল দলকে এবার এ পুরস্কার দেওয়ার কারণ হিসেবে দ্য স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া হল অব ফেম বলেছে, ‘মাটিলডারা একটা দারুণ পরিবর্তন এনেছে—নারী ফুটবল বদলে দেওয়া, দেশকে ঐক্যবদ্ধ করা, পরবর্তী প্রজন্মকে উজ্জীবিত করা এবং অনেক দিন ধরেই জাতীয় একটা পরিচয় পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের খেলাধুলাকে টেনে তোলার ক্ষেত্রে।’
নারী ফুটবল বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলা দলটি টপকে গেছে জাতীয় ক্রিকেট দলকে। যারা এবার জিতেছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ধরে রেখেছে অ্যাশেজ, এরপর সর্বশেষ গত মাসে জিতেছে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
১৯৯৮ সালে এ পুরস্কার চালু হওয়ার পর থেকে মাত্র তৃতীয় কোনো দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার নারী ফুটবল দল জিতল ‘দ্য ডন অ্যাওয়ার্ড’। এর আগে ২০০৬ সালে পুরুষ ফুটবল দল ও ২০২০ সালে নারী ক্রিকেট দল এ পুরস্কার জিতেছিল।
গতবার ডন অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন টেনিস তারকা অ্যাশলেই বার্টি, যিনি এখন অবসরে গেছেন।