মাশরাফি বিন মুর্তজা
মাশরাফি বিন মুর্তজা

সাক্ষাৎকারে মাশরাফি

‘এখন ফাইলের কাভার দেখে বলে দিতে পারি অনুমোদনে কত দিন সময় লাগবে’

জাতীয় ক্রিকেট দলে মাশরাফি বিন মুর্তজা ছিলেন একজন অভিভাবকের মতো। অধিনায়ক থাকাকালে তো বটেই, অধিনায়ক না থাকলেও অবস্থানটা সে রকমই ছিল। তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি কখনোই। খেলার মাঠ থেকে রাজনীতির মাঠে সংসদ সদস্য হিসেবে গত পাঁচটি বছর কেমন কাটল তাঁর? আরও একটি সংসদ নির্বাচনে নড়াইল–২ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেসব নিয়েই কথা বলেছেন মাশরাফি, বলেছেন নিজের রাজনৈতিক দর্শনের কথাও।

গতকাল মঙ্গলবার টেলিফোনে মাশরাফির সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তারেক মাহমুদ

প্রশ্ন

প্রথম আলো: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন। কেমন লাগছে?

মাশরাফি বিন মুর্তজা: আলহামদুলিল্লাহ, এটা আমার জন্য অনেক বড় আনন্দের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা যে তিনি আবার নড়াইল ও লোহাগড়াবাসীর উন্নয়নের জন্য আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। নির্বাচিত হলে আমি আগের মতোই আপ্রাণ চেষ্টা করব আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে এবং ‘স্মার্ট নড়াইল’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যেতে।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: সংসদ সদস্য হিসেবে গত পাঁচ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

মাশরাফি: এই পাঁচটা বছর শুধু আমি নই, বাংলাদেশের প্রত্যেক সংসদ সদস্য, একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মী এবং জনপ্রতিনিধির জন্য ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কোভিডের দুই বছর এবং তার পরবর্তী সময়ে কোভিডের ধাক্কা সামলে উঠতে সবাইকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে। মানুষ মৃত্যুভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল, কর্মহীন হয়ে পড়েছিল, অনেকের ঘরে খাবার ছিল না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সাংগঠনিক নেতৃবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধিরা এ সময় মানুষের পাশে থেকেছেন। আমরা একটা টিম হিসেবে কাজ করেছি। সরকারি পর্যায় থেকে এ সময় মানুষের ঘরে ঘরে চাল, আটা, তেল—এসব পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে আমাদের অনেক উন্নয়নকাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষণিক তদারকিতে এই বিরাট চ্যালেঞ্জ আমরা সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পেরেছি।

নড়াইলে নিজের এলাকার মানুষদের সঙ্গে মাশরাফি বিন মুর্তজা
প্রশ্ন

প্রথম আলো: একজন ক্রিকেটার হয়েও ক্রিকেটে ভবিষ্যৎ না গড়ে যে আশা ও লক্ষ্য নিয়ে সংসদ নির্বাচন করেছিলেন, গত পাঁচ বছরে তার কতটুকু পূর্ণতা পেল?

মাশরাফি: একটু আগেই বললাম, সময়টা ছিল চ্যালেঞ্জিং। তার মধ্যেই চেষ্টা করেছি যতটুকু করা যায়। গত পাঁচ বছরে আমার নির্বাচনী এলাকায় আইটি পার্ক হয়েছে ও আড়াই শ বেড হসপিটাল হয়েছে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সহযোগিতায় আমরা ১০টি আইসিইউ পেয়েছি। লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাধীনতার পর থেকে ৩১ বেডের ছিল, সেটা এখন চারতলা ভবন, ৫০ বেডের হয়েছে। নড়াইল-লোহাগড়ায় দুই শ কোটি টাকা ব্যয়ে স্কুল এবং সড়ক হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পল্লি সড়ক উন্নয়নের জন্য আড়াই শ কোটি টাকার প্রস্তাব পাস করে দিয়েছেন। আমাদের এখানে নদীভাঙন সবচেয়ে বড় সমস্যা। তিনি ৩০২ কোটি টাকা দিয়েছেন নদীভাঙন রোধ এবং নবগঙ্গা-মধুমতী নদী খননের জন্য। ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চিত্রা নদী সংস্কার হয়েছে। ২০ কোটি টাকায় জরুরি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে । কয়েক দিন আগে শহরের ভেতর চার লেনের রাস্তার জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। নড়াইল, লোহাগড়া দুটি পৌরসভাকেই বর্তমান সরকারের পৌরসভাভিত্তিক সবচেয়ে বড় প্রকল্প এলজিএসপির আওতায় আনা হয়েছে। ইকোনমিক জোন আনার প্রক্রিয়া চলছে। বাংলাদেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু মধুমতী সেতু হবে নড়াইলে। এ ছাড়া হাতেম আলী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হবে, এস এম সুলতান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবনা আছে। এ রকম আরও অনেক প্রকল্প আছে, যেগুলো জননেত্রী শেখ হাসিনা নড়াইলে দিয়েছেন। আমি তাঁর ক্ষুদ্র একজন প্রতিনিধি হিসেবে চেষ্টা করেছি প্রস্তাবগুলো তাঁর সামনে নিয়ে যেতে। আমাদের বাড়তি সুবিধা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই একসময় নড়াইলের সংসদ সদস্য ছিলেন এবং আমরা নড়াইলবাসী এখনো তাঁকে সে রকমই ভাবি। নড়াইলের প্রতি সব সময় তাঁর বিশেষ দৃষ্টি আছে।

মাশরাফি বিন মুর্তজা
প্রশ্ন

প্রথম আলো: আপনি ছিলেন খেলার মাঠের নেতা। সেখান থেকে হলেন রাজনৈতিক নেতা। খেলার মাঠ ও রাজনীতির মাঠের মধ্যে কী পার্থক্য দেখলেন?

মাশরাফি: যখন শুরুতে রাজনীতিতে আসি, তখন মনে হয়েছিল, এ আর এমন কী! খেলার মাঠে তো অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। কিন্তু রাজনীতিতে এসে দেখলাম, এখানে চ্যালেঞ্জটা আরও বেশি বহুমুখী। আমি ছিলাম এই অঙ্গনে একেবারেই নতুন। আর আমি প্রথাগত রাজনীতি করতে চাইনি। আমি ছিলাম ক্রিকেটার। মানুষ আমাকে খেলার মাঠে দেখে চিনেছেন, ভালোবেসেছেন। আমি ক্রিকেটার ছিলাম বলেই হয়তো তাঁরা আমাকে ভোট দিয়েছেন। আমার কাছ থেকে তাঁরাও নিশ্চয়ই আমাদের দেশের প্রথাগত রাজনীতি আশা করেননি। তাঁদের বিশ্বাস ছিল, আমি নির্বাচিত হলে তাঁদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করব। নড়াইল–লোহাগড়ার উন্নয়নে প্রতিটা কাজের জন্য আমি নিজে বিভিন্ন অফিসে অফিসে ঘুরেছি। ফাইলের পেছন পেছন দৌড়েছি। আমি শুরুতেই বুঝে গিয়েছিলাম, কিছু করতে হলে আমাকেই দৌড়াতে হবে। আমিও দৌড়েছি। কোথাও যেন কোনো ফাইল আটকে না যায়, কাজ আটকে না থাকে। এমনও অফিস আছে, যেখানে আমি বারবার গিয়েছি; শুধু আমি গেলে যদি কাজটা সহজ হয়, সে জন্য। এই পাঁচ বছরে এমন অনেক কিছুই শিখেছি, যেটা সম্পর্কে আগে আমার কোনো ধারণা ছিল না। এখন আমি ফাইলের কাভার দেখে বলে দিতে পারি, সেটা অনুমোদনে কত দিন সময় লাগবে। খেলার মাঠ আর রাজনীতির মাঠ এক নয়। এখানে প্রতিটা কাজের পেছনে শেষ পর্যন্ত লেগে থাকতে হয়। মানুষের পাশে পাশে থাকতে হয়।

এলাকার মানুষের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা
প্রশ্ন

প্রথম আলো: এমন কি মনে হয় যে ক্রিকেটার পরিচয় সংসদ সদস্য হিসেবে আপনার কাজ সহজ করে দিয়েছে?

মাশরাফি: এটা হতে পারে। আমি তো ক্রিকেট খেলেই আজকের এই জায়গায়। ক্রিকেট না খেললে হয়তো আমার পক্ষে কখনো নির্বাচনে দাঁড়ানোই সম্ভব হতো না। কারণ, আমি রাজনীতির মানুষ ছিলাম না। তবে একই সঙ্গে এটাও বলব যে নিজের এলাকার জন্য কাজ করার সুযোগ সব সংসদ সদস্যেরই আছে। কাজ করার জন্যই তো আমাদের মনোনয়ন দেওয়া, নির্বাচিত করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চান, সবাই সবার এলাকার মানুষের জন্য কাজ করুক, তাঁর এলাকার উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করুক। আমার মনে হয় না, কেউ সেই চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: নড়াইলে আপনার জনপ্রিয়তা অনেক। তবু এই আসন থেকে সংসদ সদস্য হতে এবার ২০থেকে ২১ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলেন। তাহলে কি সেখানে আপনার বিরোধীর সংখ্যাও কম নয়?

মাশরাফি: নির্বাচন একটা গণতান্ত্রিক চর্চা। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার আছে নির্বাচনে আসার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এটাই চান—সব দল ও মতের মানুষ নির্বাচনে অংশ নিক। আমার এলাকা থেকে যাঁরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন, আমি তাঁদের অভিনন্দন জানাই যে তাঁরা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়েছেন। সঙ্গে এটাও বিশ্বাস করি, দল থেকে যেহেতু শেষ পর্যন্ত আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে তাঁরা আমার সঙ্গে থাকবেন। আওয়ামী লীগ একটা ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। এখানে ভিন্ন মত থাকতে পারে। কারণ, আমাদের দল গণতান্ত্রিক চর্চায় বিশ্বাস করে। একই সঙ্গে সবাই দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতিও অনুগত থাকবেন। আমাদের স্থানীয় রাজনীতিতে অনেক সিনিয়র নেতা আছেন। আমি তাঁদের চোখের সামনে বড় হয়েছি। তাঁদেরও আশা–আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে। তাঁদের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল।

মাশরাফি বিন মুর্তজা
প্রশ্ন

প্রথম আলো: সব দল অংশগ্রহণ করছে না বলে এবারের নির্বাচন নিয়ে দেশে–বিদেশে প্রশ্ন আছে। এ ব্যাপারে কী বলবেন?

মাশরাফি: দেখুন, পুরো দেশের নির্বাচন নিয়ে বলার জন্য আমার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানুষ আছেন, আমাদের সিনিয়র নেতারা আছেন। প্রয়োজন হলে তাঁরাই এ নিয়ে কথা বলবেন। তবে এটুকু বলতে পারি যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব সময়ই আন্তরিক যেন সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। নড়াইল–২ আসন নিয়েও আমার একই কথা। একটা গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় আসতে হয়, সরকার গঠন করতে হয়। এই দরজা সব সময়ই খোলা। আমার আসন থেকে কেউ নির্বাচন করতে চাইলে আমি দুই হাত তুলে স্বাগত জানাব।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: সংসদ সদস্য হিসেবে এই পাঁচ বছরে আপনার কোনো ব্যর্থতা আছে বলে কি মনে করেন?

মাশরাফি: ব্যর্থতা তো অবশ্যই আছে। মূল ব্যর্থতা যে আমি এই পাঁচ বছরে আমার এলাকার প্রতিটি ঘরে যেতে পারিনি। সব মানুষের দুঃখ–কষ্ট জানতে পারিনি। আমি চেষ্টা করি মানুষের মধ্যে মিশে থাকতে, তারপরও হয়তো এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের কাছে আমি এখনো যেতে পারিনি বা যাঁরা আমার কাছে আসতে পারেননি। আরও নিশ্চয়ই অনেক কিছুই করতে পারিনি। কী পারিনি বা কী পেরেছি, সেটা মানুষই ভালো বলতে পারবে। আমার কাজের সবচেয়ে ভালো মূল্যায়ন তারাই করতে পারবে।

মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা
প্রশ্ন

প্রথম আলো: এবার তো সাকিব আল হাসানও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁর রাজনীতিতে আসাটা কীভাবে দেখেন?

মাশরাফি: প্রথমত আমি তাকে রাজনীতিতে স্বাগত জানাই এবং তার ইচ্ছার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করি। সাকিব আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেটার। ক্রিকেট খেলেই দেশকে সে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি নিশ্চিত, রাজনীতিতেও সাকিব অলরাউন্ডারের মতোই কাজ করবে। তার মাধ্যমে মাগুরাবাসীর স্বপ্ন পূরণ হবে।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: কিন্তু সাকিব এখনো নিয়মিত খেলছেন। আরও কয়েক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সামর্থ্য আছে তাঁর। রাজনীতিতে আরও পরে এলেই কি ভালো করতেন না?

মাশরাফি: এটা সাকিবের একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সে মনে করেছে এখনই রাজনীতিতে আসা উচিত, তাই এসেছে। তার নিশ্চয়ই একটা ভবিষ্যৎ–পরিকল্পনা আছে। আমি আশা করব, মাগুরার মানুষ একত্র হয়ে সাকিবের জন্য কাজ করবেন, তাকে নির্বাচনে বিজয়ী করবেন। আমরা দেখেছি, সাকিব খেলার মাঠে তার কাজটা কী অসাধারণভাবে করে। আমার বিশ্বাস, মাগুরার জনপ্রতিনিধি হয়েও সে তার সর্বোচ্চটা দেবে।

মাশরাফি বিন মুর্তজা
প্রশ্ন

প্রথম আলো: আওয়ামী লীগ যদি আবারও সরকার গঠন করে এবং আপনিও যদি নির্বাচিত হন; এবার কি সরকারের বড় কোনো দায়িত্ব পেতে আগ্রহী?

মাশরাফি: আমি যখন ছোটবেলায় নড়াইলে ক্রিকেট খেলা শুরু করি, তখনো এই আশা করিনি যে একসময় জাতীয় দলে খেলব। এরপর জাতীয় দলে এসে তো প্রায় ১৮–১৯ বছর খেললাম। অধিনায়কত্ব পেলাম, পাঁচ বছর দলকে নেতৃত্ব দিলাম। আমি এটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে সৃষ্টিকর্তা আপনার জন্য যতটুকু বরাদ্দ রেখেছেন, শত চেষ্টা করেও তার একবিন্দু বেশি আপনি পাবেন না, তার থেকে একবিন্দু কমও আপনাকে কেউ দিতে পারবে না। কাজেই আমাকে আরও বড় কিছু পেতে হবে, এটা আমি ভাবি না। আমার একটাই চিন্তা—আমি নড়াইল–লোহাগড়ার মানুষের উন্নয়ন চাই। সে জন্য যা যা করা দরকার, করে যাব।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: ক্রিকেটের জন্যই যেহেতু এই পর্যন্ত আসা, দেশের ক্রিকেটের প্রতিও তো আপনার একটা দায়িত্ব থাকে। ভবিষ্যতে ক্রিকেট প্রশাসনে আসার ইচ্ছা আছে?

মাশরাফি: ক্রিকেট আমার রক্তে, এটাকে আমি অস্বীকার করতে পারব না। ক্রিকেটের প্রয়োজনে আমাকে যখনই ডাকবে, তখনই আমি আছি। অনেকবার গিয়েছিও। অনেক ক্রিকেটারই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাদের প্রয়োজনে আমাকে ডাকে এবং সেটা ক্রিকেটীয় বিষয়েই। আমি চেষ্টা করি তাদের সাহায্য করতে। আমি মনে করি না যে ক্রিকেটের জন্য কিছু করতে আমাকে বোর্ডেই থাকতে হবে। সেটা ভবিষ্যতের ব্যাপার। যেখানে যে অবস্থায়ই থাকি, দেশের ক্রিকেটের ভালোর জন্য আমি যেকোনো কাজই করব।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: শেষ প্রশ্ন, ঘরোয়া ক্রিকেটে তো এখনো খেলছেন। এটা কি চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে?

মাশরাফি: বিপিএল, প্রিমিয়ার লিগ—এসব খেলার ইচ্ছা আছে। এ বছর তো বিপিএলে সিলেটের হয়ে খেলা ঠিকও হয়ে গেছে। তবে পায়ে একটু সমস্যা আছে। আশা করি খেলার আগে ঠিক হয়ে যাবে।