সুইজারল্যান্ডের গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন রিচার্লিসন, ভিনিসিয়ুসরা। প্রথমার্ধে একের পর এক আক্রমণ করেও কাজের কাজটা করতে পারেননি তারা। গোলশূন্য প্রথমার্ধ শেষে ম্যাচের ৬৪ মিনিটে একবার ভিনিসিয়ুস গোল পেয়েছিলেন। কিন্তু ভিএআর দেখে সেটি বাতিল ঘোষণা করেন রেফারি।
ভিনির গোলটি বাতিল হলো কেন! ভিনি নিজে তো অফ সাইডে ছিলেন না। গোলটিও ছিল চমৎকার। তবে ভিএআরে দেখা গেছে ভিনিসিয়ুস যখন গোলটি করেন তখন অফ সাইডে ছিলেন আগের ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে বাই সাইকেল কিকে অসাধারণ গোল করা রিচার্লিসন। মাঠের বৃত্তের কাছাকাছি সুইস মিডফিল্ডার বল পায়ে রাখতে ব্যর্থ হলে রদ্রিগো তা ধরে কাসেমিরোকে ঠেলে দেন। তিনি দ্রুতই তা ভিনিসিয়ুসকে বাড়ান বাঁ দিকে। তিনি বল ধরে সুইজারল্যান্ডের বক্সে ঢুকে গোলকিপার সোমারের পাশ দিয়ে জালে ঠেলে দেন।
কিন্তু এই আক্রমণের সময়ই অফ সাইডে ছিলেন রিচার্লিসন। গোলটির আগে মূল আক্রমণটি যখন রচনা হয়েছে, সেই সময় ভিনি বল স্পর্শ করার আগেই নিজের অবস্থান থেকে নড়ে যান রিচার্লিসন। ভিনি বল স্পর্শ করার পর তিনি নড়লে বা দৌড়ালে আর এটি অফসাইড হতো না।
গোল বাতিলের হতাশার পর ব্রাজিলকে অবশ্য স্বস্তি দিয়েছেন কাসেমিরো। ৮৩ মিনিটে তিনি দলকে এগিয়ে দিয়েছেন ১–০ গোলে।
এর আগে বিশ্বকাপে ব্রাজিল কখনোই সুইজারল্যান্ডকে হারাতে পারেনি। ১৯৫০ বিশ্বকাপে ২-২ গোলে ড্রয়ের পর ২০১৮ বিশ্বকাপে এই দুই দলের খেলা ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে।