সামিট ওপেন গলফ বিজয়ী জামাল হোসেন
সামিট ওপেন গলফ বিজয়ী জামাল হোসেন

এশিয়ান ট্যুরে খেলার স্বপ্ন দেখছেন জামাল

এশিয়ান ট্যুর গলফ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত শুধু সিদ্দিকুর রহমানই খেলার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু এবার এশিয়ান ট্যুরে খেলার স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশের আরেক গলফার জামাল হোসেন মোল্লা। আর তাঁকে এমন স্বপ্ন দেখাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে আজ শেষ হয়েছে সামিট ওপেন গলফ। এই টুর্নামেন্টে সিদ্দিকুর রহমানকে টপকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জামাল হোসেন। পারের চেয়ে ১৩ শট কম খেলে চ্যাম্পিয়ন জামাল। পারের চেয়ে ৭ শট কম খেলে যুগ্মভাবে রানারআপ হয়েছেন সিদ্দিকুর ও বাদল হোসেন।

চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে কর্মকর্তাদের সঙ্গে জামাল

গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত পিজিটিআইয়ের (প্রফেশনাল গলফ ট্যুর অব ইন্ডিয়া) টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলেছেন জামাল। সেখানে সব মিলিয়ে ১৭টি টুর্নামেন্টে অংশ নেন তিনি। এর মধ্যে মাত্র ১টিতে কাট মিস করেন। বাকি ১৬টির মধ্যে তিনটি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়নের সুবাস পেতে পেতেও হয়েছেন রানারআপ। গত বছর এপ্রিলে চণ্ডীগড়ে টাটা স্টিল প্লেয়ার্স চ্যাম্পিয়নশিপে, দিল্লিতে প্রমিথিউস স্কুল–এনসিআর ওপেনে এবং অক্টোবরে হরিয়ানায় টাটা স্টিল প্লেয়ার্স চ্যাম্পিয়নশিপে রানারআপ হন। এরপর আজ ঢাকায় সামিট ওপেন গলফে চ্যাম্পিয়ন।

শেষ রাউন্ডে আজ হতাশ করেছেন সিদ্দিকুর রহমান

১৪ জানুয়ারি জামাল থাইল্যান্ডে যাচ্ছেন এশিয়ান ট্যুর কোয়ালিফাইং স্কুলে খেলতে। এই টুর্নামেন্টে সেরা ৩৫ জন গলফারের মধ্যে থাকতে পারলে খুলে যাবে জামালের স্বপ্নের দরজা। এশিয়ান ট্যুরে খেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জামাল বলছিলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হয়ে বছর শুরু করতে পেরেছি এবার। এর আগে ভারতেও গত বছর ভালো খেলেছি। আমি দারুণ আত্মবিশ্বাসী। এবার আশা করি, এশিয়ান ট্যুরে খেলার কার্ড পাব। একবার যদি কার্ড পাই, তাহলে এশিয়ান ট্যুরেও ভালো কিছু করব।’

আজ শেষ রাউন্ডে জামাল খেলেছেন পারের চেয়ে ৩ শট কম। তীব্র ঠান্ডায় খেলতে সমস্যায় হচ্ছিল জামালের। ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলতে থাকা সিদ্দিকুর আজ বেশ বাজে খেলেছেন। পারের চেয়ে খেলেছেন এক শট বেশি। সেই তুলনায় বাদল খেলেছেন যথেষ্ট ভালো, পারের চেয়ে ৪ শট কম।

শেষ রাউন্ডের খেলা নিয়ে যদিও খুব বেশি সন্তুষ্ট নন জামাল, ‘ভারতে এমন আবহাওয়ায় অনেক টুর্নামেন্টে খেলেছি। কিন্তু ঢাকায় এত ঠান্ডায় কখনো খেলিনি। আরও ভালো হতে পারত খেলা। কিন্তু যে হোলগুলোতে বার্ডি খেলি সেখানে বগি করেছি। দশবার খেললে আটবারই বার্ডি হয় ১৪ নম্বরে। কিন্তু আজ ঠান্ডার কারণে ঠিকমতো খেলতে পারিনি। ১৭ নম্বর হোলেও সাধারণত পারের সমান খেলি। কিন্তু সেখানেও বগি করেছি। দুই রাউন্ডে অনেক শট এগিয়ে থাকায় শেষ পর্যন্ত আজ জিততে পেরেছি।’