পরিত্যক্ত হয়েছে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচ
পরিত্যক্ত হয়েছে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচ

বৃষ্টির আগে উজ্জ্বল রেজাউর

আগের দুই ম্যাচে একটি করে জয় দুই দলের। ফলে শেষ ম্যাচটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী। সেন্ট লুসিয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের তৃতীয় আনঅফিশিয়াল ওয়ানডেতেও ছিল রোমাঞ্চের আভাস। তবে পরে ব্যাটিং করা বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ইনিংসের ১৫.৪ ওভার পর নামা বৃষ্টিতে আর শুরু হতে পারেনি খেলা। শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হয়েছে সেটি, ৩ ম্যাচের সিরিজ তাই ড্র-ই থাকল ১-১-এ।

ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ টেডি বিশপের ফিফটিতে ভর করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৩৮ রান। রেজাউর রহমান নেন ৪ উইকেট। পরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে চাপে পড়লেও সেটি সামাল দেয় বাংলাদেশ 'এ' দল, তবে এরপরই বাগড়া দেয় বৃষ্টি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ 'এ' দলকে কাল ভালো শুরু এনে দেন ত্যাগনারায়ণ চন্দরপল ও জশুয়া ডা সিলভা। ১৫তম ওভারে ২৩ রান করা ডা সিলভাকে ফিরিয়ে রেজাউর প্রথম ব্রেকথ্রু দেওয়ার আগে উদ্বোধনী জুটিতে ওঠে ৬৭ রান। অধিনায়ক ডা সিলভা ফেরেন রেজাউরের বলে খোঁচা দিয়ে কট বিহাইন্ড হয়ে। ৫৯ বলে ৪৩ রান করা চন্দরপল ক্যাচ দেন বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসানকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে টেডি বিশপ ও জাস্টিন গ্রিভস যোগ করেন ৭৪ রান। সে জুটি ভাঙেন রেজাউর, তাঁর শর্ট বলে মিড অনে ধরা পড়েন ৫৪ বলে ৩৬ রান করা গ্রিভস। টেভিন ইমলাখ রানআউট হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল উইকেট হারায় নিয়মিত বিরতিতেই। রেজাউর, মুকিদুল ইসলাম ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর তোপে ৪২ রানেই তারা হারায় ৬ উইকেট, যদিও দশম উইকেট জুটি অবিচ্ছিন্ন থাকে ১৩ রানে।

রেজাউর ৪ উইকেট নেন ৫০ রানে, ২ ম্যাচ খেলে ৬ উইকেট নিলেন এ পেসার। মৃত্যুঞ্জয় ৪৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট, মুকিদুল ১০ ওভারে ১ উইকেট নিতে খরচ করেন ৫১ রান। আর রকিবুল দেন ১০ ওভারে ৪৫ রান। সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকারকে দিয়ে করানো হয়েছে ১০ ওভার, তবে উইকেট পাননি তাঁরা। খালেদ আহমেদকে খেলানো হয়নি কাল।

৪ উইকেট নেন রেজাউর

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের ইনিংসের ৩৯তম ওভারেও একবার নেমেছিল বৃষ্টি, তাতে প্রায় ৩০ মিনিট বন্ধ ছিল খেলা। এরপর আবার রোদ ওঠে সেন্ট লুসিয়ায়, তবে রান তাড়া করতে নেমে খেই হারায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। আগের ম্যাচে শতক করা মোহাম্মদ নাঈম ফেরেন দ্বিতীয় ওভারেই, অ্যান্ডারসন ফিলিপের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে টপ-এজড হন তিনি ১ রান করেই। ওই ওভারের শেষ বলে দৃষ্টিকটু শটে আউট হন সাইফ হাসানও-শরীর থেকে অনেক দূরে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।

৭ রানে ২ উইকেট হারানোর চাপ সামাল দেন সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন, তৃতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেন ৫১ রান। ১৫তম ওভারে শামার স্প্রিঙ্গারের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে মিঠুন ক্যাচ দিলে ভাঙে সে জুটি। পরের ওভারেই নামে বৃষ্টি। ঘণ্টা দেড়েক পর সেটি থামলেও খেলা শুরু হতে পারেনি আর। সৌম্য অপরাজিত ছিলেন ৪২ বলে ৩০ রানে, ইনিংসে তিনি মারেন ৪টি চার।

সফরে তিনটি আনঅফিশিয়াল ওয়ানডের আগে দুটি চার দিনের ম্যাচ খেলে দুই দল। তবে বৃষ্টির কারণে দুটি ম্যাচই ড্র হয়েছিল।