বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা!
আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড জোয়াও ফেলিক্সকে ধারে এনেছে চেলসি। ৯৭ লাখ পাউন্ডের এ ধারচুক্তি মৌসুমের শেষ পর্যন্ত। সে হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ২১ ম্যাচ পাবেন ২৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
কাল রাতে ফুলহামের মাঠে তাঁর প্রিমিয়ার লিগে অভিষেকও হয়ে গেল। সে এমনই অভিষেক যে ফেলিক্সও তো বটেই, চেলসিও ভুলে যেতে চাইবে। ফুলহামের মাঠে চেলসি হেরেছে ২–১ গোলে আর লাল কার্ড দেখেছেন ফেলিক্স!
ফেলিক্স যেহেতু প্রিমিয়ার লিগে ২১ ম্যাচের জন্য এসেছেন, তাই একটা হিসাব করা যায়। ফুলহামের ডিফেন্ডার কেনি তেতেকে কড়া ট্যাকল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখায় তাঁকে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই তিন ম্যাচে ফেলিক্সকে শুধু ডাগ আউটে বসিয়ে রেখে প্রায় ১৪ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা) খরচ হবে চেলসির।
হিসাবটি করা হয়েছে ফেলিক্সের ৯৭ লাখ পাউন্ডের ধারচুক্তি ও প্রিমিয়ার লিগে ২১ ম্যাচ বিবেচনায়। ম্যাচপ্রতি ফেলিক্সের জন্য চেলসির খরচ হবে প্রায় ৪ লাখ ৬১ হাজার ৯০৪ পাউন্ড। নিষিদ্ধ হওয়া তিন ম্যাচ মিলিয়ে খরচের অঙ্কটা ১৪ লাখ পেরিয়ে যায়।
তবে ফেলিক্স মাঠে যতক্ষণ ছিলেন, ভালো খেলেছেন। ৭৬ শতাংশ নিখুঁত পাস ও ৬টি শট নিয়েছেন। এর মধ্যে গোলপোস্টের ভেতর ছিল ৪টি শট। ফাউলের শিকারও হয়েছেন ৪ বার। ৫৮ মিনিটে ফেলিক্স লাল কার্ড দেখার আগপর্যন্ত দুই দলের আরও কোনো খেলোয়াড় এতগুলো শট নিতে পারেননি। ফেলিক্সের মতো এতবার কেউ ফাউলেরও শিকার হননি।
২৫ মিনিটে চেলসিরই সাবেক মিডফিল্ডার উইলিয়ান গোল করে এগিয়ে দেন ফুলহামকে। বিরতির পর ৪৭ মিনিটে কালিদু কুলিবালির গোলে সমতায় ফেরে চেলসি। ফেলিক্স লাল কার্ড দেখার পর চেলসির ১০ জনে পরিণত হওয়ার সুযোগ নিয়েছে ফুলহাম। রক্ষণভাগ সেভাবে সামলাতে পারেনি গ্রাহাম পটারের দল। সে সুযোগে ৭৩ মিনিটে ফুলহামের হয়ে গোল করেন কার্লোস ভিনিসিয়ুস।
চেলসির এই হারে কোচ পটারের ওপর চাপ আরও বাড়ল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটা চেলসির টানা তৃতীয় হার। প্রিমিয়ার লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে শেষ ৯ ম্যাচের মাত্র একটিতে জিতেছে চেলসি। ১৮ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে ১০ম স্থানে চেলসি।
ম্যাচ শেষে চেলসি কোচ পটার বলেছেন, ‘বোঝাই যাচ্ছে, আমরা কী অবস্থায় আছি। যা যা ভুল হতে পারত, সবই হচ্ছে। তবে আমরা আরও ভালো খেলতে পারতাম। সময়টা কঠিন। খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মনের অবস্থাটা বুঝতে পারছি।’