বেলজিয়ামের জার্সিতে আর দেখা যাবে না হ্যাজার্ডকে
বেলজিয়ামের জার্সিতে আর দেখা যাবে না হ্যাজার্ডকে

বেলজিয়ামকে বিদায় বলে দিলেন হ্যাজার্ড

বেলজিয়ান ফুটবলে যে ‘গৃহদাহ’ শুরু হয়েছিল, সেটা অবশেষে নিভতে শুরু করেছে। এমনি এমনি নয়, অবসরের ঘোষণার মধ্য দিয়ে।  

‘সোনালি প্রজন্ম’ নিয়ে শেষবার বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে কী ধাক্কাটাই না খেয়েছে বেলজিয়াম। বাজে ফুটবলের প্রদর্শনীতে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে পড়েছে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে থাকা দলটি। এরপরই একের পর এক তারকা খেলোয়াড়ের অবসর–গুঞ্জন শুরু হয়।

সেটার শুরু হলো অধিনায়ক এডেন হ্যাজার্ডকে দিয়ে। মাত্র ৩১ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।

ইনস্টাগ্রামে অবসরের ঘোষণায় হ্যাজার্ড লিখেছেন, ‘আজ খাতার একটি পাতা উল্টাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২০০৮ সাল থেকে আপনাদের অতুলনীয় সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। আমি মনি করি, বেলজিয়ামের নতুন প্রজন্ম প্রস্তুত। সবাইকে মিস করব।’

মরক্কোর কাছে অপ্রত্যাশিত হারের পর ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ড্র করলে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় বেলজিয়ামের। এরপর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে অবসর নিয়ে আলোচনা করেছিলেন হ্যাজার্ড। তখন তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন বন্ধুরা। তবে এক সপ্তাহেও মনোভাব পাল্টায়নি রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি জয়ী তারকার।

হ্যাজার্ডের আগে প্রধান কোচ রবার্তো মার্তিনেজ পদত্যাগ করেছেন। শোনা যাচ্ছে, বেলজিয়ান ফুটবলে কদিনের মধ্যেই অবসরের হিড়িক পড়বে। জাতীয় দলকে বিদায় বলে দিতে পারেন আরও একাধিক তারকা।

২০০৮ সালে বেলজিয়ামে হয়ে অভিষেক হয় হ্যাজার্ডের। অবসর নেওয়ার আগপর্যন্ত খেলেছেন ১২৬ ম্যাচ। নিজে গোল করেছেন ৩৩টি, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৩৬টি।

ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, মরক্কোর বিপক্ষে হারের পর বেলজিয়ামের ড্রেসিংরুমে খুবই বাজে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। কারণ, ওই ম্যাচের আগে বেলজিয়ামের সেরা তারকা কেভিড ডি ব্রুইনা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তাদের বিশ্বকাপ জয়ের কোনো সুযোগ নেই। সবাই বুড়ো হয়ে গেছেন।

‘গৃহদাহের’ ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের রাস্তায় গাড়ি পুড়িয়ে দেন সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়েন অনেকে। বাধ্য হয়ে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারও করা হয় বেশ কয়েকজনকে।

বিশ্বকাপে প্রত্যাশিত সাফল্য এনে দিতে পারায় দলে চলছে অন্তর্বিবাদ, দেশের রাস্তায় জ্বলছে আগুন। হ্যাজার্ড বোধ হয় এসব থেকে পরিত্রাণই পেতে চেয়েছিলেন।