পর্তুগিজ ফুটবলার জোয়াও কানসেলো
পর্তুগিজ ফুটবলার জোয়াও কানসেলো

কানসেলোর স্বপ্নের দলে আছেন রোনালদো, নেই মেসি

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর যাঁরা ভক্ত, লিওনেল মেসিকে তাঁদের সেভাবে পছন্দ করার কথা নয়। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জাতীয় দলের সতীর্থ জোয়াও কানসেলোও এর ব্যতিক্রম নন।

তাই তো রোনালদোর পর্তুগিজ দলের সতীর্থ কানসেলো যে একটি ‘ফাইভ অ্যা সাইড’ ফুটবল দল বেছেছেন, সেটিতে নেই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মেসি। পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন ফিফপ্রোর সঙ্গে আলোচনায় ৫ জনের স্বপ্নের দল বাছাই করতে গিয়ে কানসেলো রোনালদোর সঙ্গে রোনালদিনিওকেও রেখেছেন।

পেপ গার্দিওলার সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে গত বছর ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে ধারে বায়ার্ন মিউনিখে খেলতে যান কানসেলো। এ মৌসুমে তিনি ধারে খেলছেন বার্সেলোনায়।

২৯ বছর বয়সী এই ফুলব্যাককে ফিফপ্রো সব পজিশনের জন্য ৫ জন ফুটবলারকে বেছে নিতে বলেছিল। নিজের স্বপ্নের দল বাছতে গিয়ে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসিকে তাঁর দলে জায়গা দেননি। মেসি না থাকলেও আছেন বার্সার ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনিও। কানসেলোর ৫ জনের স্বপ্নের দলে বাকি ৩ জন এদেরসন, রুবেন দিয়াজ ও বের্নার্দো সিলভা।

ফরোয়ার্ড হিসেবে কানসেলোর প্রথম পছন্দ রোনালদো। মিডফিল্ডার হিসেবে বেছে নিয়েছেন দুজনকে—রোনালদিনিও ও সিলভা, ডিফেন্ডার হিসেবে দিয়াজ আর গোলকিপার হিসেবে এদেরসন। সিলভা, দিয়াজ, এদেরসন তিনজনই ম্যানচেস্টার সিটিতে কানসেলোর সতীর্থ ছিলেন। সিলভা ও দিয়াজ জাতীয় দল পর্তুগালেরও সতীর্থ।

নিজের স্বপ্নের দলে কেন এই ৫ জনকে বেছে নিয়েছেন, সেই ব্যাখাও দিয়েছেন কানসেলো। রোনালদিনিও তাঁর সবচেয়ে বড় আদর্শ—কথাটা তিনি গত ডিসেম্বরে স্প্যানিশ ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্ত’কে জানিয়েছিলেন। এবার ফিফপ্রোকে তিনি বলেছেন, ‘আমি বহুবার বলেছি, রোনালদিনিও আমার সবচেয়ে প্রিয় ফুটবলার। তিনি এমন একজন, যাঁর খেলা দেখে আমি ফুটবলার হয়েছি।’

রোনালদোর ব্যাপারে কানসেলো বলেছেন, ‘তিনি আমার দেশের কিংবদন্তি। তিনি যতগুলো গোল করেছেন, তা তরুণ প্রজন্মকে এখনো অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছে।’

পর্তুগাল দলের অনুশীলনে রোনালদোর সঙ্গে কানসেলো

এত গোলকিপার থাকতে ম্যানচেস্টার সিটির ব্রাজিলিয়ান এদেরসনই কেন? কানসেলোর উত্তর, ‘সে গোলপোস্টের নিচে দুর্দান্ত। পায়েও খুব ভালো খেলতে পারে, ডিফেন্স সীমানার বাইরে সহজেই বল পাঠাতে পারে। ওর সামনে যেসব সতীর্থ থাকে, তাদের অনেক সুযোগ করে দেয়।’

দিয়াজকে নিয়ে তাঁর মত, ‘রক্ষণে নেতৃত্বগুণের জন্য সে অসাধারণ। এ ছাড়া মাঠে ওর ব্যক্তিত্ব ও যোদ্ধার মতো মনোভাবও দারুণ লাগে। আমার মনে হয় একজন ডিফেন্ডারকে যোদ্ধার মতোই লড়াই করা উচিত।’

সিলভাকে নিয়ে বলেছেন, ‘বের্নার্দোকে বেছে নিচ্ছি ওর বুদ্ধিমত্তার কারণে। ওর খেলার ধরনও ভালো লাগে। সে এমন একজন খেলোয়াড়, যে প্রচুর দৌড়াতে পারে। সিটির হয়ে সে প্রতি ম্যাচে ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার দৌড়ায়।’

২০১৯ সালে উয়েফা নেশনস লিগ জয়ী পর্তুগাল দল। কানসেলো ছিলেন সেই দলের সদস্য

২০১৯ সালে পর্তুগালের হয়ে রোনালদো, সিলভা, দিয়াজদের সঙ্গে উয়েফা নেশনস লিগ জিতেছেন কানসেলো। এবার কানসেলোর লক্ষ্য তাঁদের সঙ্গে উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা। আগামী ১৪ জুন জার্মানিতে শুরু হবে ইউরোর ১৭তম আসর।