'ঘানা বিশ্বকাপ জিততে পারে'

Untitled-10
Untitled-10

২০১২ সালে অপ্রত্যাশিতভাবেই ঘানার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। জেমস কোয়েসি আপিয়া এরপর ‘ব্ল্যাক স্টারদের’ নিয়ে এসেছেন বিশ্বকাপে।ওয়ার্ল্ড সকারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আপিয়া দলকে নিয়ে দেখছেন বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন
l২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে আপনারা কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছিলেন। এবারও কি অন্তত ততদূর যাওয়ার কোনো চাপ আছে আপনাদের ওপর?
জেমস কোয়েসি আপিয়া: আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ভালো মানের খেলোয়াড় আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কীভাবে আপনি নিজেকে প্রস্তুত করছেন। টুর্নামেন্টের আগে ছেলেদের মনের অবস্থা আসলে কেমন। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, গতবারের চেয়ে আমরা অনেক অনেক ভালো করতে পারব।
lকিন্তু তার মানে তো আপনাদের অন্তত সেমিফাইনালে যেতে হবে। সেটা কি সম্ভব?
আপিয়া: কিছুই বলা যায় না। আমি বিশ্বাস করি আমাদের খেলোয়াড় আছে। একটা ভালো দলের বেঞ্চটাও খুব ভালো হতে হয়। এই মুহূর্তে সেটাও আছে আমাদের। সে জন্যই আমি মনে করি আমরা অনেক দূর যেতে পারব, এমনকি কাপও পাব৷

lআপনি মনে করেন ব্রাজিলে ঘানাই আফ্রিকার মূল ভরসা?

আপিয়া: আমি এখনো বলছি, আফ্রিকান ফুটবল অনেক দূর এগিয়েছে বলেই আমি মনে করি। আফ্রিকান দেশগুলোও বেশ ভালো করছে। ব্যক্তিগতভাবে ঘানার ওপরই আমার আস্থা, কিন্তু অন্য আফ্রিকান দেশগুলোও বিশ্বকাপে ভালো করবে বলে আমি মনে করি।

lমাইকেল এসিয়েন ও কেভিন প্রিন্স বোয়েটেংকে দলে ফিরে পাওয়ায় আপনি কতটা খুশি?

আপিয়া: দলে অভিজ্ঞতা থাকাটা সব সময়ই দারুণ ব্যাপার। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের আগে পুরো দল ফিট আছে কি না, সেটা নিশ্চিত করা। তাদের অভিজ্ঞতার কথা তো সবাই জানে। সঙ্গে যদি তরুণদের যোগ করি আমার মনে হয়, আমাদের দলটা খুবই ভালো ।

lখুব বেশি ম্যাচ এসিয়েন খেলতে পারেননি। কিন্তু অক্টোবরে মিসরের সঙ্গে প্লে-অফ ম্যাচে তিনি দুর্দান্ত ছিলেন...

আপিয়া: আগেই বলেছি, আপনি যখন একটা পর্যায়ে পৌঁছাবেন, আপনার অভিজ্ঞতা থাকবে, আপনাকে নিশ্চিত করতে আপনি পুরোপুরি ফিট৷ যখন আপনি ফিট থাকবেন, সবকিছু খুবই সহজ হয়ে যাবে৷

lএবারের আসরে ঘানার কোন দিকটা সবাইকে বিস্মিত করবে?

আপিয়া: ঘানার খেলোয়াড়দের সম্পর্কে আমি একটা কথা বলতে পারি, তারা যে টুর্নামেন্টেই যায়, লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়েই যায়। আমরা বিশ্বাস করি, কী হবে সেটা কখনোই নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব, দেশকে ভালোভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারব। আমি মনে করি তারা অনেক দূর যেতে পারে, এ জন্যই বলছি আমরা বিশ্বকে চমকে দিতে পারি।

lআপনার জন্য এ রকম একটা মঞ্চে কোচ হওয়া তো দুর্দান্ত এক অভিজ্ঞতা। খুব বেশি আফ্রিকান কোচের তো এই সুযোগ হয়নি...

আপিয়া: বিশ্বকাপ ড্রয়ে বিখ্যাত সব কোচকে যখন দেখলাম, নিজেকে ধন্য মনে করেছি। কিন্তু আমি হীনম্মন্যতায় ভুগিনি, নিজেকে ওঁদের অংশই মনে করেছি। এই সম্মান একটা চ্যালেঞ্জও, যেটা নিতে আমি প্রস্তুত।  

শুধু সুয়ারেজ নন

লিভারপুলকে শিরোপা জেতাতে পারেননি। কিন্তু ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে সুয়ারেজ কী দুর্দান্ত একটা মৌসুম কাটিয়েছেন সেটা তো অজানা নয় হজসনের।বিশ্বকাপে সেই সুয়ারেজের দল উরুগুয়ে তাঁর দল ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ। প্রতিপক্ষ স্ট্রাইকারের প্রশংসা করতে গিয়ে কার্পণ্য নেই ইংল্যান্ড কোচের। কিন্তু লিভারপুলের সুয়ারেজ উরুগুয়ের হয়েও একই রূপে দেখা দিতে পারেন কি না, এ নিয়ে যথেষ্টই সন্দিহান হজসন, ‘আমি ওর কৃতিত্ব খাটো করছি না। কিন্তু সে তো একা এসব করেনি। লিভারপুলে তার পাশে দুর্দান্ত কিছু খেলোয়াড় ছিল। উরুগুয়ের হয়ে সে তাদের পাশে পাবে না।’ শুধু সুয়ারেজকে নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা না করে তাই হজসন ছক সাজাচ্ছেন পুরো উরুগুয়েকে মাথায় রেখে। দেখা যাক সুয়ারেজ ভুল প্রমাণ করতে পারেন কি না হজসনকে। ওয়েবসাইট।

আশা–নিরাশায় ফ্যালকাও

রাদামেল ফ্যালকাওয়ের অনুশীলনে ফেরার খবর জেনে আশায় বুক বেঁধে আছেন অনেক কলম্বিয়ান৷ তবে আশার বেলুনটাকে এখনই খুব বেশি ফোলাতে না করছেন ​ফ্যালকাও নিজেই৷ চার মাস পর মাঠে ফিরলেও এখনো ​ফিট হওয়া নিয়ে নিশ্চিত নন এই স্ট্রাইকার, ‘এখনো জানি না আমি প্রস্তুত হতে পারব কি না৷ শারীরিক অবস্থার উন্নতির ওপর নির্ভর করে দ্রুতই একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ তবে আগের চেয়ে অনেক ভালো আছি এখন, হাঁটুর অবস্থা এখন অনেক অনেক ভালো৷  লক্ষ্যটা পরিষ্কার—দ্রুত ফিট হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে চাই৷’ এএফপি৷

গ্যাটলিন ৯.৯২

১০০ মিটারে মৌসুমের সেরা সময় করলেন জাস্টিন গ্যাটলিন। যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক সোনাজয়ী স্প্রিন্টার পরশু সাংহাই মিটে দৌড় শেষ করেছেন ৯.৯২ সেকেন্ডে। মৌসুমে প্রথম অ্যাথলেট হিসেবে ১০ সেকেন্ডের নিচে সময় করে গ্যাটলিন উচ্ছ্বসিত । তবে ৪০০ মিটার ব্যর্থ হয়েছেন অলিম্পিক সোনাজয়ী অ্যালিসন ফেলিক্স। সাংহাইয়ে তিনি দৌড় শেষ করেছেন পঞ্চম হয়ে! এএফপি।