১২২, ১৫৮, ২২, ১০৯, ১০৭*—প্রথম শ্রেণিতে জাকির হাসানের সর্বশেষ ৫ ইনিংস দাঁড়াল এমন
১২২, ১৫৮, ২২, ১০৯, ১০৭*—প্রথম শ্রেণিতে জাকির হাসানের সর্বশেষ ৫ ইনিংস দাঁড়াল এমন

বিসিএল ফাইনাল

৫ ইনিংসে চতুর্থ শতক জাকিরের, প্রতি-আক্রমণে শতক মিঠুনের

আগের দিন আশা জাগিয়েও শতকটা পাননি এনামুল হক। তবে বিসিএল ফাইনালের দ্বিতীয় দিন দেখল দুটি শতক—দক্ষিণাঞ্চলের জাকির হাসানের পর তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন মধ্যাঞ্চলের মোহাম্মদ মিঠুনও। জাকিরের শতকে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণাঞ্চলের তোলা ৩৮৭ রানের জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে ফরহাদ রেজার তোপে ১৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল মধ্যাঞ্চল। তবে মিঠুনের অপরাজিত শতকের সঙ্গে অধিনায়ক শুভাগত হোমের অপরাজিত ৬৭ রানের ইনিংসে দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৮৪ রান তোলা মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংসে এখন পিছিয়ে ২০৩ রানে।

১২২, ১৫৮, ২২, ১০৯, ১০৭*—প্রথম শ্রেণিতে জাকির হাসানের সর্বশেষ ৫ ইনিংস দাঁড়াল এমন। দিন শুরু করেছিলেন ৪৪ রানে অপরাজিত থেকে, ৫ উইকেটে ২৬১ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল দক্ষিণাঞ্চল। জাকিরের মতো অর্ধশতকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফরহাদও। দিনের তৃতীয় বলেই মুকিদুল ইসলামকে চার মেরে সেটা পূর্ণ করেন ফরহাদ। আগের দিনের ঝোড়ো ব্যাটিং ফরহাদ চালিয়ে গেছেন আজও। আবু হায়দারের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৬৭ বলে ৭১ রান করেছেন দক্ষিণাঞ্চল অধিনায়ক, ৯ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৩টি ছয়। জাকিরের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে যোগ করেছেন ১১৯ রান।

১২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে পঞ্চমবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন হাসান

ফরহাদের মতো চার মেরে অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন জাকিরও, ৭৪ বল লেগেছে তাঁর। আগের দিন ৪ উইকেট পাওয়া বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদকে ৪ বলের মধ্যে ৩ চার মেরে এরপর শতক পেয়েছেন ১৫১ বলে। রিশাদ হোসেনের সঙ্গে সপ্তম উইকেট জুটিতে জাকির যোগ করেছেন ৫২ রান। রিশাদকে ফিরিয়েই ১২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে পঞ্চমবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন হাসান।

রিশাদ ফেরার পর নাসুম আহমেদ একটু সঙ্গ দিয়েছেন জাকিরকে। তবে ৬ রানের ব্যবধানে দক্ষিণাঞ্চলের শেষ ৩ ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন জাকিরকে অন্য প্রান্তে রেখে। নাসুমের পর মেহেদী হাসান রানা ও কামরুল ইসলাম—তিনজনই হয়েছেন শুভাগতর বলে বোল্ড। শেষ পর্যন্ত ১৬১ বল খেলে ১০৭ রান করা জাকির ইনিংসে মেরেছেন ১৫টি চার।

সালমানকে ফেরার পর ফরহাদকে ঘিরে (মাঝে) উল্লাস দক্ষিণাঞ্চলের

ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই আবদুল মজিদকে হারিয়ে ফেলে মধ্যাঞ্চল, ফরহাদের বলে উইকেটকিপার এনামুলের হাতে ক্যাচ দেন মজিদ। এরপর সৌম্য সরকার, সালমান হোসেন ও তাইবুর রহমানের প্রত্যেকেই ফরহাদের শিকার। সৌম্য ও তাইবুর হন এলবিডব্লু, সালমান দেন ক্যাচ। ইনিংসের ৮ ওভার শেষে ফরহাদের বোলিং ফিগার ছিল এমন—৪-১-৮-৪!

দারুণ শতক করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন

দ্রুত ৪ উইকেট হারালেও ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা মিঠুন শুরু করেন প্রতি-আক্রমণ। ৬৯ বলেই ছুঁয়ে ফেলেন অর্ধশতক, মেহেদি হাসানকে চার মেরে এরপর শতক পান ১৪৭ বলে। দিন শেষে ১৫৫ বলে ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংসে মিঠুন মেরেছেন ১৬টি চার, ১টি ছয়। অন্যদিকে শুভাগত দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন মিঠুনকে। ১৩৫ বলে ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে মধ্যাঞ্চল অধিনায়ক মেরেছেন ৭টি চার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

দ্বিতীয় দিন শেষে

দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১১১.৩ ওভারে ৩৮৭ (জাকির ১০৭*, এনামুল ৭৬, ফরহাদ ৭১, পিনাক ৬৫; হাসান ৫/১০১, শুভাগত ৩/৫১, আবু হায়দার ২/৭৬)

মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৫৩ ওভারে ১৮৪/৪ (মিঠুন ১০২*, শুভাগত ৬৭*; ফরহাদ ৪/৩১)মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংসে ২০৩ রানে পিছিয়ে