আকিল হোসেইনের বলটা খেলতে চেয়েছিলেন লেগ সাইডে। তবে বেসামাল হয়ে পড়লেন, ব্যাটের কানায় লেগে বল গেল আকিলের কাছেই। মুলতানে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাবর আজম আজম থামলেন ৭৭ রানেই। ২৩ রানের জন্য তাই কুমার সাঙ্গাকারার টানা চার ইনিংসে শতকের রেকর্ডটা ছোঁয়া হলো না বাবরের।
সাঙ্গাকারা রেকর্ডটি গড়েছিলেন ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে। সে টুর্নামেন্টে আশ্চর্য রকম ধারাবাহিক ছিলেন সাঙ্গাকারা। ২৬ ফেব্রুয়ারি মেলবোর্নে বাংলাদেশের বিপক্ষে শতক পান। এরপর ওয়েলিংটনে ইংল্যান্ড, সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শতক করে টানা তিন শতকের রেকর্ড ছোঁন। ১১ মার্চ ২০১৫ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে শতক দিয়ে টানা শতকের রেকর্ডটি নিজের করে নেন তিনি।
কুমার সাঙ্গাকারার টানা ‘চার’১০৫*, প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫১১৭*, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ১ মার্চ ২০১৫১০৪, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ৮ মার্চ ২০১৫১২৪, প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড, ১১ মার্চ ২০১৫
টানা চার শতকের রেকর্ড না ছোঁয়া হলেও বাবর অবশ্য একটি অনন্য কীর্তি গড়েছেন গত ম্যাচেই। সে ম্যাচে তাঁর শতকটি ছিল ওয়ানডেতে টানা তৃতীয়। এর আগে ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও একবার টানা তিনটি শতক পেয়েছিলেন তিনি। ফলে দুবার টানা তিনটি শতক করা প্রথম ব্যাটসম্যান হয়েছেন তিনি।
বাবর আজমের ‘প্রথম’ তিন১২০, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬১২৩, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২ অক্টোবর ২০১৬১১৭, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৫ অক্টোবর ২০১৬
ওয়ানডেতে প্রথম টানা তিন ইনিংসে শতকের রেকর্ড গড়েছিল জহির আব্বাস। ১৯৮২ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৮৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ ওয়ানডেতে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি।
জহিরের পর টানা তিন ইনিংসে শতকের রেকর্ড গড়েন তাঁর দেশেরই সাঈদ আনোয়ার। এরপর হার্শেল গিবস, এবি ডি ভিলিয়ার্স, কুইন্টন ডি কক, রস টেলরের এ রেকর্ড হয়। এরপর কীর্তি গড়েন বাবর। প্রথম দফা বাবরের টানা তিনের পর এ কীর্তি গড়েন জনি বেয়ারস্টো, বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। সর্বশেষ ম্যাচে সেটির পুনরাবৃত্তি করেন বাবর।
বাবর আজমের ‘দ্বিতীয়’ তিন১১৪, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ৩১ মার্চ ২০২২১০৫*, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ২ এপ্রিল ২০২২১০৩, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৮ জুন ২০২২
টেস্টে ইনিংসের হিসাবে টানা শতকের রেকর্ডটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভারটন উইকসের। ১৯৪৮ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ইংল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে টানা ৫ ইনিংসে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন তিনি।
আর ম্যাচের হিসাবে রেকর্ডটি ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের। ১৯৩৭ থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে টানা ৬ টেস্টে শতক পেয়েছিলেন ‘দ্য ডন’। সবগুলোতেই প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড।