এক মাস হয়ে গেছে। তবু অবিশ্বাসের রেণু এখনো বাতাসে। কোবি ব্রায়ান্ট আর নেই!
ভয়াবহ এক দুর্ঘটনায় ১৩ বছরের মেয়ে জিয়ান্নাসহ চিরতরে হারিয়ে গেছেন বাস্কেটবল কিংবদন্তি। কিন্তু জীবন থেমে থাকে না। বাকি সন্তানদের নিয়ে সামলে ওঠার চেষ্টা করছেন সহধর্মিণী ভ্যানেসা ব্রায়ান্ট। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আইল্যান্ড এক্সপ্রেস হেলিকপ্টারসের বিপক্ষে মামলা করছেন ভ্যানেসা। কোবিসহ নিহত আটজনকে বহন করা হেলিকপ্টারটি এই প্রতিষ্ঠানেরই ছিল।
সোমবার লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি সুপ্রিম কোর্ট এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গত ২৬ জানুয়ারির সে দুর্ঘটনায় কোবি ও জিয়ান্না ছাড়া জিয়ান্নার দুই বন্ধু ও তাদের পরিবারও ছিল। এ দুর্ঘটনার পেছনে আবহাওয়া ও কুয়াশাকে দায়ী করা হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছিলেন, ঘন কুয়াশা ও নিচু মেঘের জন্য সামনে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। এ কারণে উচ্চতা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি পাইলটের পক্ষে। এর আগে জাতীয় যাতায়াত নিরাপত্তা কমিটির তদন্তে দেখা গেছে, কোনো অভ্যন্তরীণ ত্রুটি ছিল না হেলিকপ্টারে। বাহনের দুটি ইঞ্জিনই সচল ছিল দুর্ঘটনার সময়। ঘটনার সময় আশপাশে থাকা লোকজনের ছবি ও ভিডিওকে তদন্তের প্রমাণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
গত ৩০ জানুয়ারি আইল্যান্ড এক্সপ্রেস নিজেদের সব সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। কোবির দুর্ঘটনার পর সবাইকে শোক কাটিয়ে ওঠার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য নিজেদের সেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু ভ্যানেসা এখনো যে তাদেরই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করছেন, সেটা মামলা করার ঘটনাতেই প্রমাণিত। সোমবার মামলা করা হলেও এখনো এ ব্যাপারে এই প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।