উশুকে বাংলাদেশে জনপ্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছে ফেডারেশন।
উশুকে বাংলাদেশে জনপ্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছে ফেডারেশন।

সিনেমা দেখিয়ে খেলায় টানবে উশু

রুপালি পর্দায় তারকাদের অ্যাকশন দৃশ্যে চোখের পলক পড়ে না দর্শকদের। কুংফু, কারাতে, তায়কোয়ান্দো, উশুর মতো বিভিন্ন মার্শাল আর্টে পারদর্শী হলিউডের অভিনেতা জ্যাকি চ্যান, ব্রুস লি, জ্যঁ-ক্লদ ভ্যান ড্যামদের সিনেমা সহজেই মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এমনকি নব্বইয়ের দশকে শুধু মার্শাল আর্টভিত্তিক সিনেমা দিয়েই এ দেশে জনপ্রিয় হয়েছিলেন অভিনেতা মাসুম পারভেজ রুবেল। মার্শাল আর্টভিত্তিক খেলা উশু মূলত চাইনিজ কুংফু। উশুকে বাংলাদেশে জনপ্রিয় করতে এবার সিনেমা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ উশু ফেডারেশন।

সিনেমা তৈরির প্রাথমিক পরিকল্পনা হিসেবে আজ ফেডারেশনের কার্যালয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক এইচ এম রনির সঙ্গে সভা করেছেন উশুর সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন। দেশের মানুষের কাছে এখনো জনপ্রিয় হতে না পারা এই খেলাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানালেন সাধারণ সম্পাদক, ‘উশুকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে নিয়মিত টুর্নামেন্টের আয়োজন করে যাচ্ছি আমরা। কিন্তু তারপরও সাধারণ মানুষ উশু খেলা বুঝতে পারে না। এই খেলায় আসতে আগ্রহ দেখায় না। আমরা এজন্য একটা সিনেমা তৈরির পরিকল্পনা করেছি যেটার গল্প থাকবে উশুকে কেন্দ্র করে। এই খেলার নিয়মকানুন, কীভাবে খেলতে হয়, কোন কোন সরঞ্জাম লাগে সব কিছু তুলে ধরা হবে সিনেমার মাধ্যমে।’

যদিও সিনেমার জন্য চূড়ান্তভাবে কোনো নায়ক নায়িকার নির্বাচন করেনি ফেডারেশন। তবে এই সিনেমায় জাতীয় দলের উশু খেলোয়াড়দের অনেক দৃশ্যে দেখা যাবে। গল্পের প্রয়োজনেই তাঁদের রাখা হবে বলে জানালেন সাধারণ সম্পাদক। সিনেমার বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকা।

প্রয়োজনে নেপাল ও থাইল্যান্ডেও শুটিং হতে পারে বলে জানান দুলাল, ‘আমরা সিনেমার গল্পে মাদকবিরোধী বক্তব্য রাখব। আত্মরক্ষার কৌশল শেখাব। গল্পের প্রয়োজনেই বিদেশে মার্শাল আর্টের লড়াইয়ের দৃশ্য রেখেছি। আমরা চাই সিনেমাটা সবার কাছে উপভোগ্য হয়ে উঠুক। পাশাপাশি উশু খেলাটাও যেন মানুষ বুঝতে পারে, সেটাই আমাদের চাওয়া।’

ঘরোয়া টুর্নামেন্ট নিয়মিতই আয়োজন করছে উশু ফেডারেশন। আন্তর্জাতিক সাফল্যও পাচ্ছেন খেলোয়াড়েরা। নেপালে হওয়া সর্বশেষ এসএ গেমসে উশু থেকে এসেছে ৩টি রুপা ও ১০টি ব্রোঞ্জ পদক।

এমন দৃশ্য দেখা যাবে সিনেমাতেও।