বিপিএলে সিলেটের বিপক্ষে শতকের পর ঢাকার তামিম ইকবাল
বিপিএলে সিলেটের বিপক্ষে শতকের পর ঢাকার তামিম ইকবাল

শুরুতে মেরে খেলাই টি-টোয়েন্টি না, শতকের পর বললেন তামিম

দুই দিন আগেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে আরও ছয় মাস নিজেকে সরিয়ে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তরুণেরা যেন এ সময়ের মধ্যে নিজেদের তৈরি করতে পারে, সে সুযোগই করে দিয়েছেন তিনি। এই ঘোষণার পরদিনই নিজের ঘরের মাঠ কাঁপালেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতকে। তাতে সিলেট সানরাইজার্সকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে মিনিস্টার ঢাকা।

ম্যাচ জেতানো শতকটি ছিল টি-টোয়েন্টির টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের জন্য দারুণ এক উদাহরণ। মাঠে উদাহরণ সৃষ্টির পর ম্যাচ শেষেও তরুণদের প্রতি টি-টোয়েন্টি ইনিংস গড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ১১১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে তামিম বলেছেন, ‘নিজের দক্ষতা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে যাওয়া উচিত। যদি কোনো দুর্বলতা থাকে, সেটা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করা উচিত। ক্রিকেটীয় শটই খেলা উচিত। টি-টোয়েন্টি এমন ক্রিকেট নয় যে প্রতিটি বলই মারার চেষ্টা করতে হবে। ক্রিকেটীয় শট খেলা উচিত। তাহলে এই সংস্করণেও সফল হওয়া যাবে।’

তামিম ইকবাল দারুণ সঙ্গ পেলেন মোহাম্মদ শাহজাদের

সিলেটের ১৭৬ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তামিমের ইনিংসে ঢাকা ম্যাচ জিতেছে ৩ ওভার বাকি থাকতে। যে গতিতে এগিয়ছে ঢাকার ইনিংস, তাতে মনে হচ্ছিল ২০০ রানও সহজেই তাড়া করতে তামিমদের সমস্যা হতো না। ম্যাচ শেষে তামিমও তাই বলছিলেন, ‘লক্ষ‍্য ২২০ রান হলেও হয়তো আমরা জিততে পারতাম। আমি জানতাম, যদি আমরা ভালো শুরু করি, আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে। সৌভাগ‍্যবশত আমি ও শাহজাদ অসাধারণ একটি শুরু পাই। আর এরপর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।’

৬৪ বলে ১৭টি চার ও চারটি ছক্কায় করেন ১১১ রান তামিমের

তামিমের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও। বিপিএলের ঢাকা পর্বের প্রথম চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিই হেরে কিছুটা চাপে ছিল দলটি। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ঢাকার একটি জয় দরকার ছিল। মাহমুদউল্লাহ এ ব্যাপারে বলছিলেন, ‘এই জয়টা খুব দরকার ছিল। ঢাকায় তিনটা হারের পর দল খুব চাপে ছিল। কৃতিত্ব তামিম ও শাহজাদের। তামিম ছিল বুদ্ধিদীপ্ত ও আগ্রাসী। উইকেটও ব‍্যাটিংয়ের জন‍্য ভালো ছিল। তামিম ও শেহজাদকে কৃতিত্ব দিতে হবে—ওরা যেভাবে ইনিংস গড়েছে এবং ম‍্যাচ শেষ করেছে।’