লিটন দাসের অর্ধশতকের পর টেল-এন্ডে শরীফুল ইসলাম ও ইবাদত হোসেনের অবদানে সেন্ট লুসিয়া টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রান পর্যন্ত গেছে বাংলাদেশ। ১৬৫ রানেই সপ্তম উইকেট হারানোর পর শেষ অষ্টম ও নবম উইকেট জুটিতে ওঠে ৬২ রান।
চা-বিরতির পরপরই মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেট দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের তৃতীয় সেশন। কাইল মেয়ার্সের বলে গালিতে বদলি ফিল্ডার ডেভন থমাসের বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে নেওয়া দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন মিরাজ। লিটন দাসকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য এরপর থাকেন শুধু টেল-এন্ডের ব্যাটসম্যানরা।
ইবাদতকে নিয়ে লিটন যোগ করেন ২৬ রান। জেইডেন সিলসকে চার মেরে ক্যারিয়ারের ১৪তম অর্ধশতক পূর্ণ করেন লিটন, মাত্র ৬৬ বলে। অবশ্য জোসেফের শর্ট অব আ লেংথের বলে তুলে মারতে গিয়ে মিড-অনে ধরা পড়েন তিনি ৫৩ রান করে। ১৯১ রানে বাংলাদেশ হারায় অষ্টম উইকেট।
ক্যারিবীয়দের এরপর হতাশ করেন শরীফুল ইসলাম ও ইবাদত হোসেন। ১৭ বলে ৫ চারে ক্যারিয়ারসর্বোচ্চ ২৬ রান করেন শরীফুল। সিলসকে তুলে মারতে গিয়ে শরীফুল ফিরলে ভাঙে দুজনের ৩২ রানের জুটি। এরপর খালেদ আহমেদ অবশ্য খুব বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি ইবাদতকে, সিলসের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। ইবাদত অপরাজিত থাকেন ৩৫ বলে ২১ রান করে, মারেন ৩টি চার। শুধু টেস্ট নয়, প্রথম শ্রেণিতেই ইবাদতের এটি সর্বোচ্চ স্কোর।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিলস ও আলজারি জোসেফ নেন ৩টি করে উইকেট, ২টি করে নিয়েছেন কাইল মেয়ার্স ও অ্যান্ডারসন ফিলিপ। ২৫০তম উইকেটের অপেক্ষা আরেকটু বেড়েছে কেমার রোচের।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এ ইনিংসে মেরেছে ৩৯টি চার, মানে ৬৬.৬৭ শতাংশ রানই এসেছে চার থেকে। এর আগে এত কম রানের স্কোরে কখনোই এতগুলো চার মারেনি বাংলাদেশ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ প্রথম সেশনে মাত্র ২ উইকেট হারালেও দ্বিতীয় সেশনে পথ হারায়। ওই সেশনে আউট হন চার জন ব্যাটসম্যান।