প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অমিত হাসানের শুরুটা হয়েছে স্বপ্নের মতো। সর্বশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগে ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১১ ইনিংসে ৫৯ গড়ে ৫৯০ রান করেছেন ২টি শতক ও ২টি অর্ধশতকে। সিলেট বিভাগের হয়ে খেলা এই তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগেও রানে ছিলেন। ৬ ইনিংসে ৪০ গড়ে ৩২২ রান করেছেন, ছিল ২টি শতক।
প্রথম শ্রেণির ছোট্ট ক্যারিয়ারে পাঁচটি শতকের মধ্যে চারটিই এসেছে গত মৌসুমে। এবার লাল বলের ছন্দটা সাদা বলেও নিয়ে এলেন নারায়ণগঞ্জের এই তরুণ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তাঁর শুরুটাও যে হয়েছে শতক দিয়ে! বিকেএসপিতে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে খেলাঘরের হয়ে ১৩৩ বলে শতরান স্পর্শ করেন এই ডানহাতি। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে এটিই অমিতের প্রথম শতক।
টস জেতা শেখ জামাল খেলাঘরকে পাঠিয়েছিল ব্যাটিং করতে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পিনাক ঘোষকে এলবিডবব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। তিনে নামেন অমিত। জুটি গড়েন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান প্রীতম কুমারের সঙ্গে। ঘরোয়া ক্রিকেটে এই দুই তরুণ ব্যাটসম্যানই দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত। দুজনের ৫৩ রানের জুটিও ছিল সে রকমই।
৩৬ বল খেলে ২৬ রানে প্রীতম দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হলেও ভারতীয় অশোক মানারিয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে অমিতের সময় লাগেনি। দুজন মিলে আরও ৭৭ রান যোগ করে শেখ জামালের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেন। কিন্তু অনিয়মিত বোলার সাইফ হাসানের বোলিংয়ে খেলাঘর হঠাৎই পথ হারায়। অশোক ও সালমান হোসেন দুই ওভারের ব্যবধানে আউট হন সাইফের অফ স্পিনে। দলের রান তখন ৩৪.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫০।
দ্রুতই সেটি ১৫৯ রানে ৫ উইকেটে পরিণত হয় নাফিদ চৌধুরীর ভুলে। সাইফের অফ স্পিনে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অন বাউন্ডারিতে ক্যাচ তুলে আউট হন নাদিফ। আরেক অনিয়মিত বোলার তাইবুর রহমান এসে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ ইলিয়াসকে।
দ্রুত উইকেট পতনে রানের গতিও কমে আসে। মাসুম খান ক্রিজে আসায় রক্ষা। মাসুম ২১ বলে ৩০ রান যোগ করে আউট হলেও অমিতের চাপ কিছুটা কমে। এক-দুই রানে প্রান্ত বদল করে খেলে তিনি তিন অঙ্কের কাছাকাছি পৌঁছে যান। ইনিংসের ৫০তম ওভারে অপেক্ষার অবসান ঘটে। সুমন খানের লেংথ বলে পুল করে দৌড়ে দুই রান নিয়ে ১৩৩ বলে শতক পূর্ণ করেন এই ডানহাতি। শেষ পর্যন্ত অমিতের ১৩৬ বলে ১২টি চারে সাজানো ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করেই খেলাঘর ৭ উইকেটে ২২১ রান করেছে।