সেই ২০১৫ সালের নিজেদের সর্বোচ্চ রান (২৩১) তাড়া করে জেতার রেকর্ডটা নতুন করে লিখতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে সুযোগ ছিল। ভারতের ছুড়ে দেওয়া ২৪১ রানের লক্ষ্যটা ছুঁতে পারলেই রেকর্ড বইয়ে কাটা-ছেঁড়া হতো নিশ্চিত। পোলার্ডরা সেটা পারেননি। রোহিত-কোহলি-রাহুল বিস্ফোরণের জবাবে পোলার্ড লড়েছেন একাই। হেটমায়ারও ৪৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। তবে এই দুজনকে সঙ্গ দিতে পারেননি আর কেউ। পুরো ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে উইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৩ রান। ভারত ম্যাচ জিতেছে ৬৭ রানে। এ জয়ে পুরো সিরিজই তাদের তাদের পকেটে এসে পড়ল। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারত জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। ম্যাচসেরা হয়েছেন কে এল রাহুল।
ভারতের ২৪০ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অতিথিরা। ১২ রানে প্রথম উইকেট এরপর ১৭ রানে পরপর ২ উইকেট হারিয়ে তখনই ব্যাকফুটে চলে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শিমরন হেটমায়ার আর কায়রন পোলার্ডের ৭৪ রানের জুটি খানিকটা আশা জোগালেও শেষটা করতে পারেননি তাদের কেউই। কুলদীপ যাদবকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন হেটমায়ার (৪১)। দলের ৯১ রানের মাথায় হেটমায়ার আউট হলেও একপ্রান্তে উইন্ডিজদের আশার আলো হয়ে জ্বলতে থাকেন পোলার্ড। দলীয় ১৪১ পোলার্ড ৬৮ রান করে আউট হন। এরপর ভারতীয় বোলারদের সামনে অন্য ব্যাটসম্যানদের অসহায় আত্মসমর্পণ।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ উইকেটেই ২৪০ রান তোলে ভারত। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করে শুধু অস্ট্রেলিয়াই জিততে পেরেছে। ভারতের বোলিংশক্তি বিবেচনায় কাজটা ক্যারিবীয়দের জন্য কঠিনই ছিল।
রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল— ভারতীয় টপ অর্ডারের এই তিন ব্যাটসম্যান আজ দুর্দান্ত স্ট্রোক-প্লের প্রদর্শনীই দেখিয়েছেন। আগের দুটি ম্যাচের মতো এ ম্যাচও যে হাই-স্কোরিং হতে যাচ্ছিল, সেটি বোঝা গিয়েছে তাঁদের ব্যাটিংয়ে। ৫ ছক্কা ও ৬ চারে মাত্র ৩৪ বলে ৭১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন ওপেনার রোহিত। আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুলের অবশ্য দুঃখ থাকবে। সেঞ্চুরিটা যে হাতছাড়া হয়েছে! ৫৬ বলে ৯১ রান করে শেষ ওভারে আউট হন রাহুল। অধিনায়ক বিরাট কোহলি ২৯ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ৭ ছক্কা ও ৪ চারে সাজানো কোহলির ইনিংসে ভর করে মূলত শেষ ৫ ওভারে ৬৭ রান তুলেছে ভারত। ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন কোহলি।
নিজের দুর্দান্ত ইনিংসটি দিয়ে দারুণ এক ক্লাবেও নাম লিখিয়েছেন রোহিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৪০০ ছক্কার মাইলফলক টপকে গেছেন তিনি। তাঁর আগে রয়েছেন ক্রিস গেইল (৫৩৪ ছক্কা) ও শহীদ আফ্রিদি (৪৭৬ ছক্কা)। তবে এ দুজনের চেয়ে দ্রুততম সময়ে ৪০০তম ছক্কার দেখা পেলেন রোহিত। ৩৫৪তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে এসে মাইলফলকটির দেখা পেলেন তিনি।