বিরাট কোহলি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছুটি চেয়েছেন—এটা প্রকাশ্যে আসার পর ভারতের ক্রিকেট মহলে নানা ধরনের গুঞ্জন চলছে। কেউ কেউ তো এটাকে দেখছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দুই অধিনায়ক-তত্ত্বের কুফল হিসেবে! ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন তো বলেই ফেলেছেন, এটি হয়তো রোহিত শর্মার সঙ্গে বিরাট কোহলির অন্তর্দ্বন্দ্বই প্রকাশ করছে।
সাদা ও লাল বলে দুজন অধিনায়ক—কোহলি টি–টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়ার পর এ পথই বেছে নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এ সংস্করণে বিসিসিআই অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেয় রোহিতকে। আর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দল দেওয়ার সময় কোহলির জায়গায় বিসিসিআই ওয়ানডের নেতৃত্বও রোহিতকে দিয়েছে। কোহলিকে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরই ঝড় ওঠে ভারতের ক্রিকেটে। বিসিসিআইয়ের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন দেশটির ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ। বিসিসিআই তখন বলেছিল, সাদা বলের ক্রিকেটে তারা দুজন অধিনায়ক রাখতে চান না এবং কোহলির সঙ্গে কথা বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে সিরিজ থেকে কোহলি ছুটি চাওয়ার পর আবার আলোচনার ঝড় উঠেছে। অন্যদিকে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজে খেলতে পারবেন না রোহিত। সব মিলিয়ে আজহারউদ্দিন টুইট করেছেন, ‘বিরাট কোহলি জানিয়েছে যে সে ওয়ানডে সিরিজে খেলবে না এবং রোহিত শর্মা টেস্ট সিরিজে নেই। বিশ্রাম নেওয়ায় কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু এর জন্য সময়টা ভালো হতে হবে। এটা তো দ্বন্দ্বের বিষয়টিই সামনে নিয়ে আসে।’
বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল অবশ্য বলছেন অন্য কথা। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে সিরিজে কোহলির খেলা বা না খেলা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি যদ্দুর জানি, নেতৃত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই বিরাট দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছুটি চেয়েছিল।’
কোহলি অবশ্য এ বিষয়ে এখনো কিছু বলেননি। তবে টেস্ট সিরিজের জন্য দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন করবেন কোহলি। সেখানে হয়তো ভারতের টেস্ট অধিনায়ক ওয়ানডে সিরিজে খেলা বা না খেলার বিষয়ে কিছু বলতে পারেন। ভারত দল দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে দেশ ছাড়বে আগামী পরশু।