পার্টি, দ্রাক্ষারস সেবন—উদ্দাম জীবন কাটানো যেন ব্রাজিলিয়ানদের রক্তে মিশে আছে। নেইমারের পার্টি-জীবন নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। তাঁর ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ আর্থুর মেলোই বা বাদ যাবেন কেন! নেইমারের জন্মদিনের পার্টিতে যোগ দিতে ক্লাবের অনুমতি ছাড়াই প্যারিসে চলে গিয়ে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন বার্সেলোনা ছেড়ে সদ্য জুভেন্টাসে নাম লেখানো আর্থুর। এবার তো মদ পান করে জরিমানাও গুনতে হলো তাঁকে।
আর্থুরের জীবনটা যেন ভুলের ভরা গল্প। মাঠের পারফরম্যান্সে তিনি যতটা গোছানো, ব্যক্তি জীবনে মোটেই তা নন আর্থুর। বিশৃঙ্খলা যেন তাঁর জীবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। সর্বশেষ আট-নয় মাসের কথাই ধরুন, কত কী ঝামেলাই না করেছেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার। গত ডিসেম্বরে আন্দোরাতে স্নোবোর্ডিং করতে গিয়ে চোটে পড়েছিলেন। সেই সময়ের বার্সা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল এ জন্য।
এরপর রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে কাপের ম্যাচের দুদিন আগে চলে গিয়েছিলেন নেইমারের জন্মদিনের পার্টিতে। বার্সেলোনার সব খেলোয়াড় যখন করোনাভাইরাস পরীক্ষা করিয়েছেন, আর্থুর তা করাননি। বার্সেলোনা থেকে জুভেন্টাসে নাম লেখানোর জন্যও নাটক করেছেন আর্থুর মেলো। জুলাইয়ের শেষ দিকে কাউকে কিছু না বলে বার্সেলোনা থেকে চলে গিয়েছিলেন। আর্থুর মেলোর অগোছালো জীবনে এসব হয়তো যথেষ্ট ছিল না। তাই তো এবার মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে পুলিশের তোপের মুখে পড়েছেন তিনি।
ঘটনা সোমবার ভোররাতের। বন্ধুদের আড্ডায় গিয়ে দ্রাক্ষারসটা একটু বেশিই বুঝি পান করে ফেলেছিলেন! গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় তাই ভারসাম্য রাখতে পারেননি। গাড়ি উঠিয়ে দিয়েছেন ফুটপাতে। জিরোনায় ঘটা এই দুর্ঘটনার পর পুলিশ এসে ২৪ বছর বয়সী মিডফিল্ডারের অ্যালকোহল পরীক্ষা করে। তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাসে লিটারপ্রতি দশমিক ৫৫ মিলিগ্রাম অ্যালকোহলের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
এটাই আর্থুরকে শাস্তি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। নিয়ম অনুযায়ী কারও শ্বাস-প্রশ্বাসে লিটারপ্রতি দশমিক ৫০ মিলিগ্রামের বেশি অ্যালকোহল থাকতে পারবে না। নিয়ম ভাঙায় সঙ্গে সঙ্গেই জরিমানা করা হয়েছে আর্থুরকে। তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্সও জব্দ করেছে পুলিশ। যেটা ছয় মাস থেকে এক বছরের আগে তিনি পাবেন না। জরিমানা গুনতে হলো, হারাতে হলো ড্রাইভিং লাইসেন্স, এর সঙ্গে নিজের শখের ফেরারি গাড়িটার ক্ষতি তো হয়েছেই। গাড়িটি যে ফুটপাতে একটি ল্যাম্পপোস্টে গিয়ে আঘাত করেছে।