জনতা ব্যাংকের কোটি টাকার স্পনসরশিপ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছিল হকি ফেডারেশন। এই টাকা জনতা ব্যাংক দিচ্ছে জাতীয় দলের কোচের জন্য। ফেডারেশন হাত বাড়ায় ইউরোপের দিকে। হল্যান্ডের দু-তিনজন কোচের সঙ্গে কথাবার্তাও এগোয়। কিন্তু ইউরোপিয়ান কোচ আনতে পারছে না ফেডারেশন। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় কোচের দ্বারস্থ হকি ফেডারেশন।
সব ঠিক থাকলে ভারতীয় কোচ সঞ্জয় বানসাল বাংলাদেশে আসছেন হকি ফেডারেশনের উপদেষ্টা কোচ হয়ে। বানসালকে উপদেষ্টা কোচ করে আনার কারণ, তাঁকে তৃণমূলেও কাজে লাগাতে চায় ফেডারেশন। জাতীয় দলের মাহবুব হারুণই থাকছেন মূল কোচের দায়িত্বে। বানসাল থাকবেন পরামর্শক। ভারতীয় জাতীয় দলের সাবেক এই সহকারী কোচ মূলত তৃণমূলেই বেশি কাজ করছেন।
কাল হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ এই খবর দিয়ে বলেছেন, ‘বানসালের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত। দু-একটি বিষয় নিয়ে কথা-চালাচালি হচ্ছে। তবে সেসব কোনো বাধা হবে না। আশা করছি, শিগগিরই বানসালের সঙ্গে আমরা এক বছরের চুক্তিতে যেতে পারব।’
বানসাল মাসে সাড়ে তিন হাজার ডলার করে পারিশ্রমিক চেয়েছেন। হকি ফেডারেশন তিন হাজার ডলার করে দিতে চায়। এতে বানসাল রাজি না হওয়ার কারণ দেখছে না ফেডারেশন। হল্যান্ডের কোচরা ৮-১০ হাজার করে মাসিক পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন। সেই তুলনায় ‘অল্প টাকায়’ কোচ আনা হচ্ছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন মিশেল কিনান নামের একজন বেলজিয়ান কোচ বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল উপদেষ্টা কোচ করে। মিশেল ছয় মাসে ছয়-সাতবার আসার কথা। তাঁকে দীর্ঘ মেয়াদে পাওয়া যায়নি। ফেডারেশনের আন্তর্জাতিক যোগাযোগও বেশ দুর্বল। তাই ঘরের পাশেই শেষ পর্যন্ত হাত বাড়াতে হয়েছে।