‘ক্লাব যদি ছাড়তে হয়, আমি বেরিয়ে যাব সামনের দরজা দিয়েই।’ কদিন আগে ফ্লামেঙ্গো ছাড়ার গুঞ্জনে এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন রোনালদিনহো। মানে ছাঁটাই হওয়ার বদনাম গায়ে নিয়ে নয়, ছেড়ে যেতে চেয়েছিলেন নিজে থেকেই। কথা রাখলেন দুবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার। নিজে থেকেই বেরিয়ে গেলেন ফ্লামেঙ্গো থেকে। সদর দরজা দিয়ে, আইনি লড়াইয়ে জিতে। আদালতে চুক্তি থেকে মুক্ত হওয়ার রায় পেয়েই ঘটন-অঘটনে ভরা ১৭ মাসের ফ্লামেঙ্গো অধ্যায়ের ইতি টানলেন রোনালদিনহো। তাঁর আইনজীবী গিসলাইনে নুনেস বলছেন, ‘রোনালদিনহো আর ফ্লামেঙ্গোর খেলোয়াড় নেই। আদালতের রায়ে তাঁর চুক্তি ভেঙে গেছে।’ এর অর্থ, দুবারের বিশ্বসেরা ফুটবলারটি এখন মুক্ত খেলোয়াড়। যেতে পারবেন যেখানে খুশি।২০১১ সালের জানুয়ারিতে এসি মিলান ছেড়ে রোনালদিনহো নাম লেখান ব্রাজিলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্লাব ফ্লামেঙ্গোতে। এখানে তাঁর চুক্তি ছিল ২০১৪ সাল পর্যন্ত। কিন্তু ফ্লামেঙ্গোতে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। এ বছরের শুরু থেকে সমস্যাটা আরও প্রকট হয়। পায়ে আগের সেই জাদু তো নেই-ই, নেতিবাচক কারণেও খবর হয়েছেন একাধিকবার। বাজে ফর্মের কারণে সমর্থকদের দুয়ো শুনেছেন। গত শনিবারই যেমন মাঠের বাইরে গিয়েও দুয়ো শুনতে হয়েছে তাঁকে। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার আগে তাঁর ভুলেই ম্যাচে ৩-৩ গোলে সমতা ফেরায় ইন্টারন্যাসিওনাল। সব কিছুরই ইতি টেনে দিলেন ক্লাব ছেড়ে দিয়ে। এতে সম্মান নিয়েই যেতে পারলেন বটে; কিন্তু ফুটবল ক্যারিয়ারটাই কি ঝুঁকির মধ্যে পড়ল না ৩২ বছর বয়সী মিডফিল্ডারের! রয়টার্স।